কাঞ্চন (Kanchan Mullik)-শ্রীময়ী, আজকের দিনে প্রেমের দুনিয়ায় এই জুটি এক আদর্শ নিদর্শন। বর্তমানে, বিচ্ছেদের যুগে এই দুই তারকা সম্পর্কে একে অপরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে। দিন যত যাচ্ছে দম্পতির সম্পর্কে প্রেম আরও গাঢ় হয়ে উঠছে। অবশ্য তাদের এই সম্পর্ক নিয়ে সমাজের কাছে কটাক্ষ কম শুনতে হয় না। বর্তমানে এই দম্পতির জীবনে এসেছে নতুন ছোট্ট সদস্য, এসেছে কন্যা সন্তান। নাম তাঁর কৃষভি। এক বছরের মধ্যেই দম্পতি থেকে মা-বাবাতে পরিণত হয়েছে এই জুটি। তবে, এই বিষয়তেও কটাক্ষের শিকার হতে হয় তারকা জুটিকে। কিন্তু, দিন কয়েক আগে সব কিছুকে দূরে সরিয়ে সমালোচনা-কটাক্ষ-দুঃখ-ভালোবাসাকে সঙ্গে নিয়ে কাঞ্চন-শ্রীময়ী (Sreemoyee Chattoraj) বৈবাহিক জীবনের পার করলো একটা বছর।
বিবাহবার্ষিকীর এই বিশেষ দিনকে কেন্দ্র করে আবার দুই অভিনেতা- অভিনেত্রী একে অপরের প্রতি, ভালোবাসা প্রদান করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের কিছু ফটো পোস্ট করেছেন। ফটোতে দেখা যাচ্ছে, একেবারে বিনাড়ম্বরে কাটিয়েছেন এই দিনটা। তাই, মহাদেবের স্মরণে পৌঁছে গেছেন মন্দিরে। বিবাহ বার্ষিকীর দিনটি বিভিন্ন মন্দিরে ঘুরে কাটানোর প্ল্যান করেছিলেন আগে থেকেই এই দম্পতি। একরত্তিকে রেখে এসেছে বাড়িতে মায়ের কাছে, জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী শ্রীময়ী ফটো পোস্ট করে লিখেছেন, “দেখতে দেখতে একটা বছর পার হয়ে গেল, আমি এখনো বিশ্বাসই করতে পারছি না যে সেই দিনে ক্লাস নাইনে পড়ি আমি তোমার সাথে আলাপ হয়েছিল, ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব, গভীরতা আর বিশ্বাস নিয়ে বন্ধুত্বের হাত ধরতে ধরতে কখন যে চার হাত এক হয়ে গেল আমি নিজেও বুঝতে পারিনি, আমি কিনা এক সময় বলতাম আমি বিয়ে করব না কোনদিনও, সেই মেয়ে একজন সন্তানের মা হয়ে গেলাম,,,আমি ঈশ্বরকে কি বলে ধন্যবাদ দেবো জানিনা, তোমায় ধন্যবাদ দিলেও কম বলা হবে ঈশ্বরকে, তাই আমি ঈশ্বরকে ভালোবাসি, আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ,, তুমি ছিলে এবং আছো বলে আমার জীবনটা এত সুন্দর ভাবে সাজিয়ে দিয়েছো। তুমি ছিলে বলেই আমি কাঞ্চনের মত মানুষকে আমার জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়েছি, আমার সন্তানের বাবা হিসেবে পেয়েছি”।
অভিনেত্রী আরো লেখেন, “অনেক শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা কাঞ্চন তোমাকে, তুমি আমাকে যা ভালবাসা, সম্মান দিয়েছো, হয়তো আমারটা কম হয়ে যাবে, তোমাকে বিয়ে না করলে আমি জানতেই পারতাম না বুঝতে পারতাম না এত সুন্দর ভাবেও জীবন কাটানো যায়, এত সুন্দর ভাবেও জীবনকে যাপন করা যায়,, এত সুন্দর ভাবে মাতৃত্বের আনন্দ উপভোগ করা যায়, তোমার ভালবাসায় আমি আজ পরিপূর্ণ।,, শুধু একটাই কথা বলব আমার বিবাহ বার্ষিকীর বেস্ট গিফটটা তুমি আমায় উপহার হিসেবে দিয়ে দিয়েছ। পৃথিবীর যত দামি দামি উপহার আছে তাদের মূল্য হার মেনে যাবে আমার কাছে, কারণ আমি আমার জীবনের সবচেয়ে দামি উপহারটা তোমার কাছ থেকে পেয়েছি সেটা হল আমাদের কৃষভি। যে কিনা আমার কাছে প্লাটিনামের থেকেও বেশি দামি। তোমার ভালবাসায় আমি এই ভাবেই বাঁচতে চাই”।
আরও পড়ুনঃ রঞ্জিনী ও সেবন্তীকে জব্দ করতে এবার মোক্ষম চাল দিল শুভ! হাটে হাঁড়ি ভাঙল দুই শাশুড়ির! জমজমাট আজকের পর্ব!
অন্যদিকে আবার কাঞ্চন শ্রীময়ীর উদ্দেশ্যে লেখেন, “একটা ছেলের অগোছালো জীবনকে গুছিয়ে নিয়ে, তার জীবনটাকে সঠিক করে, তাকে দিয়েও সংসার করানো যায়, তাকেও সংসারী বানানো যায়, এটা তোমার জন্য সম্ভবত শ্রীময়ী, তুমি আমার জীবনে না এলে আমি জানতাম না যে এভাবে পরিবারকে নিয়ে বাঁচা যায়, এভাবেও নিজের একটা জগৎ তৈরি করা যায়, আমি শুধু একটা বছরের জন্য নয়, আমি সারা জীবনের জন্য তোমাকে বলতে চাই শুভ বিবাহ বার্ষিকী”।
এতকিছু মন্তব্য ছাড়াও সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে শ্রীময়ী জানিয়েছেন, “বিয়ে করবো এক ছাদের নিচে বসবাস করবো। পছন্দের পুরুষের সন্তানের মা হব এই ভাবনা নিয়ে সম্পর্কে জড়াইনি। ভালোবাসার মানুষকে ভালো রাখবো, এটাই ছিল শর্ত। সেই শর্ত পূরণ করেছি”। অভিনেত্রী আবার সমালোচকদের মুখের ওপর মোক্ষম জবাব দিয়ে বলেছেন, “আমি মনের দিক থেকে ভীষণ সাহসী। বিয়ে না করলেও কাঞ্চনের সন্তানের মা হতে পারতাম। আপনারা সেটা মানতে পারতেন না। তাই আনুষ্ঠানিক বিয়ে”। অভিনেত্রী কথায় কথায় যারা তিনি বরাবরই বয়সে বড় কাউকে স্বামী হিসেবে চেয়েছিল, যে কিনা তাঁকে আগলে রাখবে যেমনটা রাখে কাঞ্চন। শ্রীময়ীর কথায়, “স্ত্রীর প্রতি প্রেম থাকলে বিবাহিত পুরুষের কখনো অন্য নারীর প্রতি আসক্তি আসে না”। আশা করা যায়, আগামী দিনে এই তারকা দম্পতি সুখে এবং সমৃদ্ধিতে ভরে থাকবে এই কামনা রইলো।