কমলিনীর জীবনে এসেছে আবার নতুন ঝড়, আর সেই ঝড়েই সে একেবারে কাহিল হয়ে পড়েছে। আজকের পর্বে দেখা যাবে, কমলিনীরা ইতিমধ্যেই স্বতন্ত্রের কাছে পৌঁছে গেছে আর স্বতন্ত্রর শারীরিক অবস্থা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আলাদা আছে। কিন্তু নতুন ঠাকুরপোর এই অবস্থা দেখে চোখের জলে বাঁধ মানছে না কমলিনী।
এমন সময়, স্বতন্ত্র কমলিনীকে অভয় দিয়ে বলিস সে তাদের ছেড়ে কোথাও যাবে না। এমন সময়, নতুন তার বৌঠানকে কমলিনী নামে ডাকে। আর তাঁকে একটা আবার অনুরোধ করে স্বতন্ত্র। এদিকে, আবার দেখা যায় মিঠিরা বাড়িতে ফিরে আলোচনা করছে তাদের নতুন কাপড় যেন কোন বিপদ না হয়, সে যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
এরপর, দেখা যায় ওপর থেকে নেমে আসে বুবলাই। বুবলাই নেমেই আজকে সন্ধ্যের অনুষ্ঠান কেমন হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করতে থাকে। এরপর, বুবলাই খোঁজ করে তাঁর মা এবং বাবিনের। কিছুটা বিরক্তি কুর্চি তাঁকে জানায়, তাঁরা হসপিটাল থেকে বাড়ি ফিরছে কারণ নতুন হঠাৎ করে বিশাল অসুস্থ হয়ে গেছে। এই শুনে মুবলাই প্রথমে স্বতন্ত্রের খোঁজ নিলেও পরে যখন শোনে তাঁর মা আজ রাতে হসপিটালে থেকে যাবে এই শুনে রেগে যায়।
বুবলাই বলে, আর কি কেউ থাকার ছিল না যে তাঁর মাকেই থাকতে হবে? এরপর, বুবলাই বলে, তাঁর মায়ের এই বাড়াবাড়ি সে মেনে নেবে না। এমন সময়, বুবলাইয়ের কথা শুনে প্রতিবাদ করতে থাকে মিঠি এবং কুর্চি। এদিকে, হসপিটালে স্বতন্ত্রের ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে মিটিল-সর্বজিৎয়েরা স্বতন্ত্র শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করছে। এমন সময়, মিটিল বলে এবার নতুন কাকুকে তাদের এই বাড়িতে আনতেই হবে। আজ এত অনিয়ম খাওয়ার জন্য নতুন কাপড় এই অবস্থা হয়েছে।
এরপর, আরও আলোচনা করতে করতে তাঁরা বাড়ির দিকে রওনা দেয়। এমন সময়, ওদিকে দেখা যায় বুবলাই তাঁর ঠাকুমাকে বলে সে কেন তার মাকে বাড়িতে টেনে নিয়ে আসেনি? বুবলাই জানায়, সে থাকলে তাঁর মাকে সে’ই নিয়ে আসত। এরপর বুবলাই বলে আজ থেকে বাড়িতে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা তাঁকে জানিয়ে নেওয়া হবে কারণ, সেই এখন পরিবারের অভিভাবক। এই শুনে কুর্চি বলে, এই বাড়ি তাকে কেউ অভিভাবক হিসেবে মানেনা।
আরও পড়ুনঃ বাড়িতে ঢুকছে ভূত?রণজয়ের ফ্ল্যাটে কি অদৃশ্য কারও আনাগোনা? টানা ৪ মাস ধরে রহস্যময় কাণ্ড! তদন্তে নামল প্যারানর্মাল বিশেষজ্ঞরা!
অন্যদিকে দেখা যায়, কমলিনী গান গাইতে গাইতে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে স্বতন্ত্রকে আর এমন সময় স্বতন্ত্র পুরনো মিষ্টি মধুর স্মৃতির কথা মনে করছে। কমলিনী নতুন কে বলে তাদের সম্পর্কের কোন নাম নেই এবং তাদের সম্পর্ক কখনো পরিপূর্ণতা পাবে না। এই বলে আক্ষেপ করে কমলিনী। তবে, সম্পর্ক সম্পূর্ণতা পাক বা না পাক তাতেই খুব একটা প্রভাব পড়বে না স্বতন্ত্রের জীবনে।