‘চিরসখা’, বাংলা ধারাবাহিকের দুনিয়ায় দাঁড়িয়ে একেবারে অন্য ধারার এই গল্প প্রথম থেকেই মন কেড়েছে দর্শকদের। তবে বলাই বাহুল্য, এই সিরিয়াল যেমন দর্শকদের কাছ থেকে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তেমনই সমালোচনা পেতেও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই এই কাহিনী।
প্রসঙ্গত এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে বহু বছর পর ছোটপর্দায় দেখা গেছে অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষকে। এই ধারাবাহিক শুরু হওয়ার প্রথম দিকে মুখ্য অভিনেত্রী অপরাজিতা অর্থাৎ কমলিনীকে নিয়ে তার ছোট ছেলে বাবিনকে নিয়ে একটি সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল দর্শকদের মধ্যে। কিন্তু, সেই সমালোচনায় কান দেননি ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা।
এই মুহূর্তে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে টানটান উত্তেজনা। ২০ বছর পর বাড়ির ছেলে বাড়িতে ফিরে এসেছে অর্থাৎ গল্পের প্রথম থেকেই সকলের জানা কমলিনীর স্বামী মৃত। আজ সেই কমলিনীর স্বামীই অর্থাৎ চাঁদু বাড়িতে ফিরে এসেছে। কিন্তু, এদিকে তো এতদিনে কমলিনীর মনে সমস্ত রকম ভাবে প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে স্বতন্ত্র।
এমন এক না বলা কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যখন কমলিনী একা পরিবারসহ সমাজের সকলের সঙ্গে লড়াই করে চলছে তখনই তাঁকে নিয়ে সমালোচকরা ব্যস্ত সমালোচনায়। অনেক ধারাবাহিক প্রেমীদের মতে বর্তমানে এই গল্পে যা দৃশ্য দেখানো হচ্ছে তা বড়ই অতিরঞ্জিত। এমনকি, এই কাহিনীর লেখিকাকেও সমালোচনা সম্মুখীন হতে হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ “কমলিনী আমাকে শিখিয়েছে সীমিত প্রত্যাশায় বাঁচতে!”— পর্দার মতো বাস্তব জীবনেও বদলে গেছেন অপরাজিতা! সব নারীর জীবনের গল্প কি এক? ‘কমলিনী’ চরিত্র নিয়ে বিস্ফোরক অপরাজিতা ঘোষ দাস!
এই ধারাবাহিক দেখে একজন তো সোশ্যাল মিডিয়া মন্তব্য করে বলেছেন, ‘কি জঘন্য? ভাই রে ভাই, অন্তত কম বয়সী ক্যারেক্টার গুলোকে মেনে নেওয়া যায়। বুড়ো বয়সে বড়ো বড়ো ছেলে মেয়েদের সামনে কি ধরনের সংলাপ আর সফট নোংরামি। আমি বলতেই বাধ্য হচ্ছি, এটা সবথেকে বাজে সিরিয়াল। তারপরও নির্লজ্জের মত দেখলাম এইটা দেখার জন্য ইনা গঙ্গোপাধ্যায় আর কতটা নীচে নামতে পারে? আমার রাগ সিরিয়ালে যারা লজিক্যাল আর লেগেসির বাইরে যাদের ভিলেন দেখানো হচ্ছে। টক্সিসিটি ওভারলোডেড।’ তবে দেখার বিষয় এখন এটাই যে পরিচালক কিংবা সিরিয়াল নির্মাতারা দর্শকদের মনের মতন গল্পের গতিবিধিকে নিয়ে যাবেন নাকি তাঁরা নিজেরা যা ঠিক করবে, তাই করবেন?
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।