ধীরে ধীরে যেন জীবনের ভদ্রতা সভ্যতাকে ঝেড়ে ফেলে স্পষ্টবাদী হয়ে উঠছে কমলিনী। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, শাশুড়ির কথা শুনে হঠাৎই রেগে গেছে কমোলিনী। শাশুড়ি বলেছে, এতদিন বুবলাই যা বলতো তা নাকি ঠিকই বলতো। অর্থাৎ, কমলিনীর শাশুড়ি তাঁর জেদ আর এক গুঁয়েমির কথা বলছে।
বুবলাই এর সঙ্গে তাঁর শাশুড়ির সহমতের কথা শুনে রেগে যায় আর উল্টে তাঁকে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে। এমন সময়, নতুন তাঁকে চুপ করাতে চাইলে সে মানতে নারাজ। উল্টে তাঁকেই জিজ্ঞাসা করে ভয় পাচ্ছ নাকি নতুন ঠাকুরপো? এমন সময়, বর্ষাও থাকে বিদ্রুপাকারে কথা বলতে থাকলেও কমোলিনী বর্ষাকে তাঁর জায়গায় বসে পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করে।
এমন সময়, অন্যদিকে দেখা যায় চাঁদু ও তার বড় ছেলের সঙ্গে বেরিয়েছে কমলিনীর জন্য উপহার কিনতে। রাস্তায় বাবা ছেলে আসতে আসতে কমলিনীর ব্যাপারে কথা বলতে থাকে। এরপর, বাড়িতে এসে বুবলাইরা জানায় তাঁরা মায়ের জন্য একটা উপহার কিনেছে।
বুবলাই বলে সে নিজের টাকা দিয়েই তার বাবাকে বলেছে একটা মায়ের জন্য উপহার কিনতে। এরপর, চাঁদু বলে, সে তার স্ত্রীর জন্য একটি সোনার আংটি কিনেছি। তবে এই কথা শুনে মোটেই খুশি হয়নি কমলিনী। উল্টে কমলিনী এই ব্যাপারটাকে বিরক্ত দেখালে নতুন তাকে বলে আংটিটা পড়ে নিতে।
এমন সময়, কমলিনী চাদুকে বলে তাকে যেন আগামী দিনে কোনদিন উপহার দিয়ে কেনার চেষ্টা না করে। এরপর, কমলিনী আংটি নিয়ে সেটা মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। এরপর দেখা যায়, কমলিনী মিটিল এবং তার কাকা মনিকে নিয়ে নতুন উকিলের কাছে গেছে। যার থেকে সে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য সাহায্য নিতে পারে।
প্রাথমিকভাবে সেই উকিলের সঙ্গে আলাপ পরিচয় হয়ে যাওয়ার পর সে এই বিবাহিত সম্পর্কে থাকতে চাই নাকি চায় না সেই নিয়ে আলোচনা করতে থাকে। উকিল তাকে জানায় যদি সাত বছর কোন মানুষ নিরুদ্দেশ থাকে তাহলে কোর্টে গিয়ে সেই মানুষকে মৃত ঘোষণা করিয়ে নিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। দীর্ঘ কুড়ি বছর পর কমলিনীর স্বামী যেহেতু ফিরে এসেছে তাতে কোনো সমস্যার কথা নেই।
আরও পড়ুনঃ “মোটা শাঁখার চল আমি আনলাম, শাঁখা-পলা পড়তে গেলে স্বামীর দেহে থাকা আবশ্যক”— মধুবনীর বক্তৃতা ঘিরে ফের বিতর্কের ঝড়! শাঁখা-পলা নিয়ে মধুবনীর ‘উচিত কথা’ শুনে বেজায় চটেছেন নেটিজেনরা!
কিন্তু এমন সময় কমলিনী বলে সে এই সম্পর্ক থেকে বিচ্ছেদ চায় কারণ এত বছর পরে তার মন এবং মানসিকতা সমস্তটাই আলাদা হয়ে গেছে। ঠিক এমন সময় এই মিটিল সন্দেহের কথা বলে। মিটিলের কথা অনুযায়ী, কাকু যেখান থেকে ফিরে এসেছে সেইখানকার কোন ঠিকানা কিংবা ফোন নাম্বার দিতে পারছে না যেটা কিছুটা হলেও সন্দেহজনক।