আজকের দিনে সময় অনেকটা এগিয়ে গেলেও মানুষের মন মানসিকতা পরে রয়েছে সেই ৬০-এর দশকে, তা চিরসখা সিরিয়াল দেখলেই বোঝা যায়। স্টার জলসার এই ধারাবাহিক আজকের পর্বে দেখা যাবে উকিলের কাছ থেকে সমস্ত কিছু নিয়মকানুন জেনে বাড়িতে ফিরে এসেছে কমলিনী। এরপর, বাড়ির সকলের একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। তাতে অবশ্য কোনো অসুবিধাবোধ করে না কমলিনী।
এমন সময়, বাড়ির নানান সদস্য নয় নানান ভাবে কমলিনীকে প্রশ্ন করতে থাকে। কমলিনী শাশুড়ি তাকে জিজ্ঞাসা করে উকিল কি বলেছে? আবার ওদিক থেকে চাঁদু বলে সেও যেতে পারত তাঁর সঙ্গে। এমন সময়, বর্ষা বলে তার মেজ মামা উকিল তাই মামনি চাইলে তার সঙ্গেও আলোচনা করতে পারত। এমন সময়, কমলিনী তাকে বলে জীবনটা তার তাই সে’ই ঠিক করবে কোন উকলির কাছে যাবে কিনা।
এরপর, কমলিনী সবাইকে সবটা বলতে থাকে উকিল তাকে যা যা বলেছে। কিন্তু তবুও কমলিনীর ইঙ্গিত কেউই বুঝতে পারছে না। সবাই জিজ্ঞাসা করছে এই বিয়েটা নতুন করে করার কোনো পদ্ধতি জেনেছে কিনা। এমন সময়, কথায় কথায় চাঁদু বলে তাদের মধ্যে তো আর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে না কিংবা কমলিনি কোনদিনও সে হারিয়ে গেছে বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তাই এইসব নিয়মকানুন তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। এরপর চন্দ্র আরো বলে, খেয়ে শুধু এই জন্মেই নয়, সাত জন্ম ধরে কমলিনীকেই তার স্ত্রী হিসেবে পেতে চায়।
এমন সময় হঠাৎ করেই মিটিল বলে, ‘ওঠে কাকু আপনি তো কাকিমাকে সাত জন্ম ধরে পেতে চান কিন্তু কাকিমাও কি আপনাকে এমন ভাবেই পেতে চায়?’ এই শুনেচন্দ্র খানিকটা মজার ছলেই কথা উড়িয়ে দেয়। এরপর, কমলীনিকে বাড়ির সকলেই নানান ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে সে কেন এই বিয়েটা মানতে চায় না? এরপর মনে মনে মিঠি ভাবতে থাকে সে এতদিন ধরে মা এবং নতুন কাকুকে জড়িয়ে যে নানান কথা শুনে এসেছে তা আদৌ সত্যি কিনা? আরও ভাবে, যতই হোক চাঁদু তার জন্মদাতা তাই তার মা অর্থাৎ কমলিনী কখনোই এমন কাজটা করতে পারে না যাতে সম্মানহানি হয়।
আরও পড়ুনঃ লন্ডনে মৌমাছির হানায় মৃত্যু সঞ্জয়ের! মৃত্যুর ছ’দিন পরও হয়নি শেষকৃত্য! কপূর পরিবারের অস্বাভাবিক নীরবতা ও করিশ্মার অভিযোগ! সঞ্জয় কপূরের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য!
এরপর, কমলিনী স্পষ্ট করে সবাইকে জানিয়ে দেয় সে আর নতুন করে সংসারে জড়াতে চায় না। অর্থাৎ সে আর কখনোই জাদুর সঙ্গে বৈবাহিক জীবন কাটাতে রাজি নয়। এই কথা শোনার মাত্রই মনে বড় আঘাত পায়ে চাদু আর বলে সে এই অসম্মান নিয়ে এই বাড়িতে থাকতে পারবে না। তাই, সে গৃহত্যাগ করবে। এই শুনে চাঁদুর মা রেগে যায়। চাঁদুর মা স্বতন্ত্রকে বলি সে যেন কমলিনীকে বোঝায় এই বিয়েটাকে মান্যতা দিতে নয়তো সে’ও ভাববে এত যে নানা লোকে যা কথা বলত তা সবই সত্যি। তবে সবকিছুর মধ্যেও কমলিনিকে একমাত্র সমর্থন করে চলছে তার কাকুমনি, কুর্চি এবং মিটিল।