লন্ডনে মৌমাছির হানায় মৃত্যু সঞ্জয়ের! মৃত্যুর ছ’দিন পরও হয়নি শেষকৃত্য! কপূর পরিবারের অস্বাভাবিক নীরবতা ও করিশ্মার অভিযোগ! সঞ্জয় কপূরের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য!

গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে এক আকস্মিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয় ভারতের প্রাক্তন শিল্পপতির। ১২ জুন, লন্ডনে একটি পোলো ম্যাচ চলাকালীন গলায় মৌমাছি ঢুকে জটিলতায় শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় ভারতীয় ধনকুবের ‘সঞ্জয় কপূর’ (Sunjay Kapur) এর। যিনি একসময় বলিউড অভিনেত্রী ‘করিশ্মা কপূর’ (Karisma Kapoor) এর সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ (Ex-husband) ছিলেন। তাঁর এই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় তীব্র চর্চা। তবে, মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ পরেও তাঁর দেহ ভারতে আনা হয়নি, এবং শেষকৃত্য নিয়েও দেখা দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন!

প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই ছিল বিতর্কের কেন্দ্রে। বলিউড তারকা করিশ্মা কপূরের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর, তিনি সম্পর্কে জড়ান প্রিয়া সচদেবের সঙ্গে, যিনিও একজন মডেল এবং অভিনেত্রী। দীর্ঘ পাঁচ বছর একসঙ্গে থাকার পর, দিল্লিতে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে দুজনের বিয়ে হয়। তাঁদের এক পুত্রসন্তান রয়েছে, যার নাম আজ়ারিয়াস কপূর। তবে সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রিয়াকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

যা নিয়েও তৈরি হয়েছে কৌতূহল। সঞ্জয়ের দিল্লির বাড়িতেও পরিবার রয়েছে। তাঁর মা, বোন এবং প্রিয়ার আগের পক্ষের মেয়েও সেখানেই থাকেন বলে জানা গেছে। কিন্তু লন্ডনের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে, গোটা পরিবার এক রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে। এমনকী কোনও সরকারি বা পারিবারিক বিবৃতিও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি। সাধারণত ধনীদের মৃত্যুতে যেমন আয়োজন থাকে, এখানকার পরিস্থিতি ঠিক তার উল্টো।

উল্লেখ্য যে, অতীতে করিশ্মা কপূর একাধিকবার সঞ্জয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন, যা তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় আজও। সেই অতীতের অভিজ্ঞতার ছায়া কি এখনও পরিবারে রয়ে গেছে? তা যদিও জানা যায়নি এখনো। তবে সঞ্জয় কপূর দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে বসবাস করলেও, তাঁর নাগরিকত্ব ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এই নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আইনি জটিলতাই এখন প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুনঃ “কোয়েল দির ওপর আমার একটা ক্রাশ ছিল”, “স্বস্তিকা আর রাইমা দির সঙ্গে প্রেম করতে পারলাম না, ভাই হয়েই রয়ে গেলাম!”— গৌরবের কণ্ঠে আক্ষেপ ও মুগ্ধতা! অভিনেতার এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি ঝড় তুলেছে নেটপাড়ায়!

এমনটাই দাবি করেন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী প্রিয়া সচদেবের বাবা অশোক সচদেব। জানা গেছে, এই প্রক্রিয়ার জন্য মরদেহ এখনও ইংল্যান্ডেই রয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল যে তাঁর দেহ দিল্লিতে নিয়ে আসা হবে এবং সেখানেই সমস্ত ধর্মীয় আচার সম্পন্ন করা হবে। নাগরিকত্ব ছাড়াও অন্য কোনও বিষয় জড়িত? এসব প্রশ্নের উত্তর আপাতত অজানা। তবে সঞ্জয়ের মৃত্যুর পরবর্তী এই দীর্ঘ নীরবতা ও জটিলতা মানুষের মনে সন্দেহের আবহ তৈরি করছে প্রতিদিন।

You cannot copy content of this page