অবশেষে, নিজের স্বার্থে আঘাত লাগতেই মায়ের পাশে দাঁড়ালো বুবলাই। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, বাড়িতে চলছে তুমুল অশান্তি। বর্ষার বিয়ের আগের প্রেম এবং সেই ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া সবকিছু নিয়েই নানা প্রশ্ন উঠছে বুবলাইয়ের মনে।
আর, বর্ষার এইসব গোপন তথ্য এক এক করে সবার সামনে বলছে মিঠি। তবে, বর্ষার নামে এতো অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও তাঁর বাপেরবাড়ির লোক ক্রমশ তাঁকে সমর্থন করে চলছে। এমন সময় বুবলাই বিয়ে ভাঙার কথাও বলে। এই শুনে বর্ষার মা বলে তাঁরা চাইলেও অনেক কিছু করতেই পারে।
এমন সময় অনেক কান্নাকাটি করে বর্ষা বুবলাইকে সেই বাড়ির বাইরে রাত কাটানো নিয়ে কিছু একটা বলতে গেলেও তাঁর কথা ঘুরিয়ে দেয় তাঁর মা। এমন সময় মিঠি বলে সে বুবলাইয়ের সংসার নষ্ট করতে চায়নি কিন্তু সে তাঁর মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে এইসব কথা সবাইকে বলে দেয়।
অন্যদিকে, আবার বর্ষার মা বুবলাইকে বলে আজ বর্ষা ছিল বলেই তার মায়ের সত্যিটা সে জানতে পেরেছে। এরপর, কমলিনী স্বতন্ত্রর স্বপক্ষে কথা বলে। আরও বলে, বর্ষা এবং তাঁর বাড়ির লোক যেভাবে অপমান করেছে এমন অপমান আগে করেনি। আরও অনেক কথা বলার পরে বুবলাই বলে সে বর্ষাকে ৭দিন সময় দিয়েছে নিজেকে ভুল প্রমাণ করার জন্য আর মিঠিকেও বলেছে এই ৭দিনের মধ্যে যা যা বলেছে তা সবটা প্রমাণ দেখানোর জন্য।
এমনকি, বুবলাই তাঁর শাশুড়িকে বলে, সে যেনো তাঁর মাকে আর অপমান না করে। মায়ের নামে আর কোনো খারাপ কথা শুনতে চায় না। তাঁর মাকে অপমান করার অধিকার তাঁকে দেয়নি, বলল বুবলাই। এরপর, কমলীনিরা সবাই মিলে পোঁছে যায় মিটিলদের বাড়িতে বিয়ের পাকা কথা বলতে।
মিটিলদের বাড়িতে যাওয়া মাত্রই তাঁর বাবা-মা নতুনের ব্যাপারে খোঁজ নিতে থাকে যা বুবলাদের একেবারেই পছন্দ হয় না। বুবলাই বলে, স্বতন্ত্র পরিবারের কেউ নয় তাই তাঁর আসার কোনো কারণ নেই। এদিকে, মিটিল বলে তাঁর বাড়িতে সে কাকে নিমন্ত্রণ জানাবে তা তাঁরা ঠিক করবে তাই সে আলাদা করে নতুন কাকুকে ডেকেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘আমি বাড়ির মেয়ে হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু ওদের বাড়িটা কখনও আমার বাড়ি মনে হয়নি’, ডিভোর্স নিয়ে অকপট মানালি!
এদিকে, আবার মিটিলের বাবা জানায় সে নাকি স্বতন্ত্রর খুব বড়ো ভক্ত। এরপর, কথায় কথায় কুর্চি বলে, মিটিল নতুনদাকে ডেকে ভালো করেছে। এমন সময়, মিটিলের মা বুবলাদের ব্যবহার দেখে খানিক অবাক হয়ে যায় আর বুবলাইরা তাঁকে পছন্দ না করলেও তাঁরা নতুনের পরম ভক্ত। এরপরেই, এসে পরে স্বতন্ত্র। এরপর, নতুনকে নানা কথার মাধ্যমে অপমান করতেই থাকে বুবলাই। তবে, এতে নতুন খুব একটা কিছু মনে করে না।