বৌঠানের আজ বিশেষ দিনে বুকের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে স্বতন্ত্র। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, ইনস্টিটিউটে হঠাৎই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছে স্বতন্ত্র। কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে প্রফেসররা কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না। কলেজে বুকের ব্যথায় রীতিমতো অজ্ঞান হয়ে গেছে স্বতন্ত্র। এই সময় স্টুডেন্টরা নতুনদের বাড়িতে খবর দিতে চাইলেও সে বাধা দেয়।
অন্যদিকে, অনুষ্ঠানের জায়গায় পৌঁছে গিয়ে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছে কমলিনীর বাপের বাড়ির লোক। আর, এমন সময়তেই কোমলিনীর মা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্মৃতিচারণ করছে যে, এক সময়ে তাঁর মেয়েকে ঠিক কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। এই বিষয়ে নিয়ে কিছুটা অশান্তিই লেগে গেলো কমলিনীর বাবা-মায়ের মধ্যে।
এদিকে, আবার বর্ষার বাড়ির সবাই ভেবে কূল পাচ্ছে না যে তাঁদের মেয়েকে কীভাবে শশুরবাড়ি পাঠাবে? সবাই, নানানরকমভাবে ভাবছে ঠিক কী কী কারণ দেখিয়ে তাঁদের দিকে আঙুল তোলা যায়? বর্ষার মা থেকে শুরু করে কাকিমা সবাই মিলে সে (বর্ষা) বিয়ের আগে কী করেছে তা নিয়ে আলোচনা করতে থাকে।
এদিকে, আবার স্বতন্ত্রকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইনস্টিটিউটের স্টুডেন্টরা। এই সময় স্বতন্ত্র মনে মনে ভাবছে তার আজ বুকে বড় ব্যথা করছে তবে কি তার চলে যাওয়ার সময় হয়ে এল? আবার মনে মনে আরো ভাবছে আজকের এই বিশেষ দিনে কমলিনীর পাশে তাঁর থাকার কথা ছিল। তোমার সঙ্গে কি শেষ বারের মতো দেখা হবে না বৌঠান? ভাবছে স্বতন্ত্র। এক কথায়, সময় যত এগোচ্ছে ততই তাঁর লুকিয়ে রাখা মনের কথাগুলো ফুটে উঠছে।
এরপর, দেখা যায় সেই অ্যাওয়ার্ড ফাংশনে এসে হঠাৎই হাজির হয়েছে কমলিনীর কাকামনি। কাকামনি আসাতে কমলিনীর বাপের বাড়ির লোক খুব খুশি হয়ে যায় আর বলে, তাঁকে কখনই আর বিদেশে ফেরত যেতে দেবে না। কাকামনি বলে, তাঁর মেয়ের বিশেষ দিনে তাঁকে আসতেই হত।
এদিকে আবার বর্ষা সুযোগ পেয়ে বুবলাইয়ের নামে নানান ধরনের অভিযোগ জানাচ্ছি বাপের বাড়ির কাছে। বর্ষার কথা অনুযায়ী, বুবলাই তাকে বিয়ের পর থেকে তেমন কোথাও ঘুরতে নিয়ে যায়নি পাছে যদি টাকা খরচ হয়ে যায়। বর্ষার মতে, সেও অনেক মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেছে বুবলাই এর সঙ্গে। বর্ষা এও বলে যে সে কখনোই এরকম একটা ছেলে তাঁর যোগ্য হতে পারে না।
এদিকে আবার স্বতন্ত্রকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার আগেই প্রফেসর আর নানান রকমের কথা বলতে থাকে আর সেই সময়তেই একটা ছাত্র বেজায় রেগে গিয়ে বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের স্যারকে হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে কারোর কোন কথা শুনলে চলবে না। এরপর দেখা যায় এই দিকে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এসে পৌঁছে গেছে সর্বজিত।
আরও পড়ুনঃ “রাজনীতির ময়দানকে হার মানাবে ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতি”— দীর্ঘ বিরতির পর পর্দায় শতাব্দী রায়! অবশেষে মুখ খুললেন, এতদিন দূরে থাকা আর টলিউডের অস্বস্তিকর সত্যি নিয়ে!
অবশেষে দেখা যায় কমলিনীরাও এসে পৌঁছেছে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে। আর আসা মাত্রই কমলিনীর মা তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে মশকরা করতে শুরু করে দিয়েছে। এই বিষয়ে আবার বেজায় রেগে যায় কমলিনীর শাশুড়ি। হাসি ঠাট্টার মধ্যে কমলিনীর দাদা তাকে জিজ্ঞাসা করে স্বতন্ত্রের কথা কিন্তু কমলিনী জানায় সে নতুনকে ফোন করেছিল কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। এরপরে দেখা যায়, স্বতন্ত্রকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার সময় সে মনে মনে ভাবছে আর যদি সে চলেও যায় তার সমস্ত ভালোবাসা এবং স্থাবর অস্থাবর সমস্তটাই বৌঠানের জন্য রাখা থাকবে।
