জিনিয়ার মুখে ঝামা ঘষে শুভ আর আদৃত এক হয়ে গেল। আজকের ‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihaprabash) ধারাবাহিকে কিছুটা এমনই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে। গল্পের শুরুতেই দেখা যাচ্ছে, আদৃত খুব রেগে গেছে কারণ শুভ ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিয়েছে কিন্তু কেন করিয়ে দিয়েছে? এই সময় শুভ বলে, ‘বিশ্বাস করো আদৃত আমি এইরকম কিছু করতে চাইনি। জিনিয়া এমন ভাবে ডিভোর্স পেপারটা নিয়ে আসলো যে আমি না বুঝেই এই সইটা করে ফেলেছি’। কথা শেষে আদৃতের কাছে ক্ষমা চাই শুভ।
এই সময় আদৃত বলে, ‘আমি তোমায় ক্ষমা করব না শুভ। তুমি আমাদের মধ্যে জিনিয়াকে ঢুকিয়ে অনেক বড় একটা ভুল করেছ’। শুভ বলে ওঠে, ‘কিন্তু আমি তো জিনিয়াকে ঢোকাইনি। আমি তোমাকে একটা কথা বারবার বলছি, তুমি আমার তো কোন কথাই শুনতে চাইছো না’। অবশেষে কিছুক্ষণ পরে বোঝা যায় শুভ এবং আদৃতের এই কথোপকথন স্বপ্নে দেখেছে শুভ। আর তারপরেই ঘুমটা ভেঙে যায়।
এই সময় শুভর বাবা ফোন করে এবং জিজ্ঞাসা করে ‘তুই ঠিক আছিস তো?’ এ সময় শুভ বলে, ‘আমি ঠিক আছি’। কথায় কথায় শুভর বাবা বলে সামনেই আসছে শিবরাত্রি এবং সে চায়, আদৃত ও তাঁর মঙ্গল কামনায় এই উপবাস পালন করুক। মেয়ে তার বাবার কথা শুনে শিবরাত্রি পালন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। শুভর বাবা ফোন রেখে দেওয়ার পরে সে অনবরত ভাবতে থাকে কেন সে এই রকম একটা স্বপ্ন দেখেছে।
সকাল হতেই শুভ জল ছিল তুলসী গাছে আর ঠিক তখনই চলে এসেছি ঠাম্মি আর বলে, ‘কিরে শুভ তোকে দেখে মনে হচ্ছে কিছু একটা হয়েছে। কি হয়েছে? সব ঠিক আছে তো?’ আর এই সময় শুভ সুযোগ বুঝে শিবরাত্রি পালন করার কথা বলে ওঠে ঠাম্মিকে। এই কথা শুনে ঠাম্মি বেজায় খুশি হয়ে যায়। অন্যদিকে আবার জিনিয়া বারে বারে ডিভোর্স পেপারে শুভর সইটার দিকে দেখতে থাকে এবং ভাবে সে শুভর সই নিয়ে নিয়েছে আর কোনরকমে আদৃতের সই নিয়ে নিলেই কেল্লাফতে।
এরপর জিনিয়া মনে মনে পরিকল্পনা করতে থাকে শুভ ও আদৃতের ডিভোর্সের পর কি কি করবে? এই সময় জিনিয়া একজন সই নকলকারী ব্যক্তিকে ফোন করে বলে তাঁর সাহায্য লাগবে। অন্যদিকে শুভ মনে মনে ভাবছে, তাঁর পরিবারের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে তাকে সে ছাড়বেনা। শিবরাত্রি পুজোর জন্য সেবন্তীকে সকাল সকাল তলব করে ঠাম্মি এবং তার বড় বৌমাকে বলে এই বছর বাড়িতে বড় করে শিবরাত্রির পুজো হবে। এইসব শুনে সেবন্তি বলে, আপনি যখন বলেছেন এবং আপনার বড় নাত বৌমা যখন বলেছে তখন তো আর কিছু বলার থাকেই না। আপনাদের চাই ইচ্ছা আপনারা করুন”।
আরও পড়ুনঃ অপূরণীয় ক্ষতি! সন্তানহারা তসলিমা নাসরিন, ২২ বছরের সন্তানকে হারালেন লেখিকা
ঠাম্মি তার বৌমার কথা শুনে রঞ্জিনী, পূরবীকে জানায় বাড়িতে বড় করে শিবরাত্রি পালন হতে চলেছে। এরপর শুভ ও আদৃত একসঙ্গে পুজোর ব্যবস্থা করতে শুরু করে। নায়ক-নায়িকার পুজোর আয়োজন দেখি অবাক হয়ে যায় বাড়ির সবাই। এরপর শুভর কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যায় ঠাম্মি। এরপরেই শুভ আদৃতের মাথায় জল ঢালতে থাকে। তখনই আদৃত বলে ওঠে কেন তার মাথায় জল ঢালছে শুভ? এবং আরো নানান ধরনের খুনসুটি চলতে থাকে শুভ ও আদৃতের মধ্যে। অবশেষে বাড়িতে এত কিছু ঘটতে দেখে সেবন্তী ডেকে পাঠালো জিনিয়াকে এবং সে এসে দেখে তাঁর সামনেই হাসি-ঠাট্টায়-মজায় আনন্দ করে বেড়াচ্ছে শুভ-আদৃত।