আদি-শুভর মধ্যে শত যুদ্ধের শেষেও জীবনে বইলো শান্তির হাওয়া! ভালোবাসায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরলো! মোহনা কী ভাঙতে পারবে তাদের দৃঢ় বন্ধনকে? নাকি ব্যর্থ হবে সে?

আদি-শুভর মধ্যে অশান্তি এখন এইটাই বেড়ে যে, আদি রেগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো। স্টার জলসার প্রিয় প্রবেশ সিরিয়ালে আজকের পর্বে দেখা যাবে, আদি শুভ একসঙ্গে বাড়ি ফিরলেও, শুভ দরজা বন্ধ করে বসে আসে। আদি শতবার ডাকা সত্ত্বেও শুভ কোনো দরজা খুলল না। এই দেখে সেবন্তী ও আদির বাবা আলোচনা করতে থাকে, তাদের মধ্যে কি হয়েছে কিছু বুঝতে পারা যাচ্ছে না।

এমন সময়, আদি শুভকে বারবার ডেকে ব্যর্থ হয়ে তাঁর বাবা তাঁকে বোঝাতে যাচ্ছিল কিন্তু সে কোনো কথা না শুনেই রেগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। অন্যদিকে দেখা যায়, আকাশ-সুনন্দাও মোহনাকে কিছুতেই বোঝাতে পারছে না যে সে যেনো আয়ানকে ভুলে যায়। আকাশ হাত জোর করলেও মোহনা কোনো কথা শুনতে নারাজ।

গৃহপ্রবেশ, Grihoprobesh, গৃহপ্রবেশ আজকের পর্ব ৭ এপ্রিল, Grihoprobesh today episode 7 april, star jalsha, স্টার জলসা

এদিকে, সেবন্তীও শুভকে বারবার ডাকে আর বলে খেয়ে নিতে। কিন্তু, শুভ দরজা খোলে না আর মনে মনে ভাবি সে কি করে আদির কথা তাঁদেরকে বলবে। এদিকে, বসার ঘরে প্রায় গোল টেবিল বসে আদি-শুভকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এমন সময়, রূপক অফিসের টেন্ডার নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলে জিনিয়া কি করে টেন্ডারটা পেল? আর কথায় কথায় ঋদ্ধি আবার খানিক সন্দেহের আঙ্গুল ডোনার দিকে তোলে। এই কথা বলার সময় ডোনা এসে পরে আর তখনই মাথা গরম হয়ে যায় তাঁর।

এরমধ্যে, বাইরে থেকে এসে পরে আদি। বাড়ির সবাই বলে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যা ঝামেলা হয়েছে তা মিটিয়ে নিতে। এরপর, বাড়িতে সমিত-জিনিয়া আসে আর তাঁরা একে অপরের মধ্যে তাদের এনগেজমেন্ট নিয়ে আলোচনা করতে থাকে। এমন সময়, জিনিয়া মনে মনে ভাবতে থাকে নিশ্চয়ই আদি এবং শুভর মধ্যে বিশাল কোনো ঝামেলা লেগেছে। সেবন্তী শুভর থেকে কেশবকে নিয়ে যায়। আর তারপরেই ঘরে ঢোকে আদি। এরপর, কথায় কথায় তাঁদের মধ্যে প্রবল অশান্তি শুরু হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ স্বতন্ত্র-ডলের ঘনিষ্ট মুহূর্তে এসে পড়লো কমলিনী! এদিকে, বৌঠানের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে ঘরে ডাকলো নতুন! কী হতে চলেছে চিরসখা ধারাবাহিকে?

একে অপরকে নানা কারণে দোষারোপ করতে থাকে। আদি তাঁকে মাথা ঠান্ডা করে বোঝাতে চাইলেও শুভ বুঝতে চায় না। শুভ তাকে পাল্টা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে কোন বন্ধু মাঝরাতে ফোন করে মেসেজ করে বলে আই লাভ ইউ? এর উত্তরে বারংবার আগে বলতে থাকে মোহনা শুধু তার একমাত্র বন্ধু সে তাকে ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসে না। কিন্তু, শত যুদ্ধের শেষে তাঁদের জীবনে বয়ে আসে শান্তির ঠান্ডা বাতাস।