শুভ-মোহনাকে একই শাড়ি উপহার দিল আদি! এদিকে, হোটেলের মধ্যে মোহনাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল আদি! আদি-শুভর বিচ্ছেদ কী এবার অনিবার্য?

আদি-শুভ যতই নিজেদের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক করে নিতে চাইলেও পরিস্থিতি তা হতে দিচ্ছে না। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে আজকের এপিসোডে দেখা যাবে, শুভ অপেক্ষা করছে আদির জন্য। এমন সময় ঠাম্মি এসে বলে, তাঁদের মধ্যে যেনো ভালোবাসা এইরকমই থাকে। তাঁদের মধ্যে কোনো আর দূরত্ব না সৃষ্টি হয়।

এরপরেই চলে আসে আদৃত। আদি বাড়িতে সঙ্গে সঙ্গে আসা মাত্রই শুভ তাকে শাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করে কিন্তু হাতে তাঁর শাড়ি দেখতে পায় না। এদিকে, আদি মনে মনে ভাবে ‘আজই সকাল বেলায় সে ঠাকুর এর কাছে প্রদীপকে সাক্ষী রেখে বলেছে সে কোন মিথ্যে কথা বলবে না কিন্তু, পরিস্থিতি এমনই সৃষ্টি হয়েছে যে মিথ্যা কথা তাকে বলতেই হবে’ এমনটা ভাবতে ভাবতে দেখা যায় ঋদ্ধি ও ডোনা ঝগড়া করতে করতে উপর থেকে নেমে আসছে।

Grihoprobesh, Star Jalsha, Bengali serial, bad graphics, poor editing, New York scene, viewers troll, serial criticism, unrealistic visuals, visual blunder, graphic fail, গৃহপ্রবেশ, স্টার জলসা, বাংলা সিরিয়াল, খারাপ গ্রাফিক্স, বাজে এডিটিং, নিউইয়র্ক দৃশ্য, দর্শকদের ট্রোল, ধারাবাহিক সমালোচনা, হাসির খোরাক, বাজে গ্রাফিক্স

ডোনা-ঋদ্ধির কথোপকথন বোঝা যায়, ঋদ্ধি ডোনাকে দোষারোপ করছে অফিসের টেন্ডার-এর ব্যাপারে। ডোনা নাকি পিন্দারে কথাটা জিনিয়াকে বলে দিয়েছে, এমনটাই মনে করে ঋদ্ধি। এমন সময়, পৃথিবী রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যায় এবং তার পিছনে যায় আদি। এদিকে, সেবন্তী ভাবে তাদের মধ্যে কি ঝামেলা শেষ হবে না। সেবন্তীর কথায়, ডোনা ভালো করে সংসার বা অফিস কিছুই করে উঠতে পারছে না।

এদিকে, শুভ আবার‌ও ভাবতে থাকে আদি কোথায় গেলো? এমন সময় শুভ মেসেজ করে বলে ‘শাড়িটা না হলেও আজ চলবে। তুমি তাড়াতাড়ি ফিরে এসো একসঙ্গে ডিনারে যাব’। এমন সময় একজন ডেলিভারি বয় এসে একতোরা ফুল এবং সঙ্গে একটি ছোট চিঠি দিয়ে যায় আদির উদ্দেশ্যে।

এই খোলা চিঠিতে লেখা রয়েছে পিঙ্ক শাড়ির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর, যে এই চিঠি পাঠিয়েছে সে হল মোহনা। এই চিঠি পড়া মাত্রই মনে মনে শুভ আবারো সন্দেহ করতে থাকে আদিকে এবং ভাবে সে কী আবার মিথ্যে কথা বলছে? এই ভাবার পরেই শুধু আবারো ভাবে মোহনার ব্যাপারটা কি আজ থেকে সে এড়িয়ে যাবে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য।

এরপর, শুভ ঘরে ফিরে ওই ফুল এবং চিঠিটা নিয়ে নানান কিছু ভাবতে থাকে। আর, মনের ভুলেই সে ফুল ও তাঁর ফোনটাকে বারান্দায় রেখে চলে আসে। এমন সময়, সেবন্তী যাওয়ার পথে দেখতে ভয় আকাশ ফোন করেছে শুভকে। ফোন করে আকাশ শুভকে ধন্যবাদ জানাই গিফট পাঠানোর জন্য। এই শুনে, সেবন্তী অবাক হয় আর ভাবে আজকে না জানিয়ে কেন সে এমন কাজটা করেছে?

এরপর শুভ ভাবতে ভাবতে ঠিক সময় মত আদির দেখানো সেই শাড়িটা নিয়ে চলে আসে। আদিও মনে মনে ভাবি ঠিক সময় মত দোকানে গিয়ে শাড়িটা পেয়ে গেছে তাই এই যাত্রায় রক্ষে। এদিকে, নিজের সন্দেহ কাটাতে শুভ সারিতা পাওয়া মাত্রই ফটোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখে একই শাড়ি কিনা? এরপর একই শাড়ি দেখামাত্রই শুভ মনে মনে ভাবে, তাহলে মোহনা কোন শাড়ির কথা বলছে?

আরও পড়ুনঃ কমলিনী নিজের বিয়ের গয়না উপহার দিল ডলকে! এদিকে, কমলিনীর না বলা মনের কথা বুঝলো কুর্চি! ডলের সঙ্গে কী বিয়ে আদৌ মেনে নিতে পারবে নতুন? তবে, কী নতুন কোনো ঝড় আসছে ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকে? 

অন্যদিকে দেখা যায়, আকাশ মোহনা গেছে এক রেস্টুরেন্টে জন্মদিন পালন করতে। এরপরেই, ওই একই রেস্টুরেন্টে চলে আসে শুভরা। ভাগ্যক্রমে দেখা হয়ে যায় আকাশদের সঙ্গে। শুভ মোহনার মুখোমুখি দেখা হওয়া মাত্রই তাঁরা মনে মনে ভাবতে থাকে, আদি কী তাহলে দুজনকে একই শাড়ি উপহার দিয়েছে? কিন্তু কেন? এরপর, আকাশের অনুরোধে শুভ এসে বসে তাদের সঙ্গে। অন্যদিকে মোহনা উঠে যায় তার একটা দরকারি ফোনের জন্য। এরপর, আদি হোটেলে ঢোকা মাত্রই দেখে সেই শাড়ি পড়ে ফোনে কথা বলছে মোহনা। সেটা জানে না আদি। তাই, হঠাৎই গিয়ে তাঁকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে এবং বলে, তোমায় ভীষণ সুন্দর লাগছে। আর এই পুরো দৃশ্য টাই দূর থেকে দেখে আকাশ ও শুভ।