সিঁধ কেটে শুভর সংসারে প্রবেশ মোহনার! ভুল বোঝাবুঝির জন্য শুভর সঙ্গে দূরত্ব বাড়লো সেবন্তীর! তবে, কী রায় বাড়িতে শুভলক্ষীর জায়গা নিতে চলেছে মোহনা?

আকাশের সঙ্গে সঙ্গে এখন সেবন্তীর সঙ্গেও দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে শুভ’র। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে দেখা যাবে, শুভ কথা বলে চলে যাওয়ার পরেই মোহনা ফোন করে আয়ানকে আর সমস্তটা খুলে বলে। মোহনা বলে, বউকে দিয়ে এইভাবে অপমান করানোর কি তার খুব দরকার ছিল? অন্যদিকে, আকাশ ভাবতে থাকে বারেবারে শুভ কেমন মোহনার সঙ্গে এমন ব্যবহার করছে? বাড়ি গিয়ে শুভর সঙ্গে কথা বলতে হবে।

এরপর, সেবন্তী কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় আকাশকে শুভর উপহার পাঠানোর ব্যাপারটা নিয়ে আনমনা হয়ে ভাবতে থাকে। এমন সময়, রাস্তায় তাঁর দুর্ঘটনা ঘটার হাত থেকে বাঁচিয়ে নেয় এক মহিলা। এরপর, অন্যদিকে দেখা যায় বাড়িতে বসে সেবন্তীর জন্য চিন্তা করছে শুভ।

entertainment
এরপরেই, মোহনাকে নিয়ে বাড়িতে আসে সেবন্তী। বাড়ি এসে সেবন্তী বলে, রাস্তায় দুর্ঘটনার হাত থেকে তাকে বাঁচাতে গিয়ে আঘাত পায় মোহনা আর সেইজন্যই তাঁকে বাড়িতে এনেছে। বাড়িতে আসা মাত্রই সবাই মোহনার সেবা করতে লাগে। এই দেখে কিছুটা মন খারাপ হয় শুভর কিন্তু কাউকেই কিছু বলতে পারে না।

আরও পড়ুনঃ ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুম্বনে মত্ত কাঞ্চন-শ্রীময়ী! নেটপাড়া বলছে ভালবাসার নামে প্রদর্শনী! ‘ভগবান কাউকে ছাড়েন না, নিজেরও মেয়ে আছে সংসার ভাঙার ফল পাবেই!’— কটাক্ষের শিকার কাঞ্চনপত্নী!

এমন সময়, মোহনা মনে মনে ভাবে শুভ না চাইতেও তাঁর বাড়িতে এসে পড়েছে সে। মোহনা মনে করে তাঁর সঙ্গে সবসময় ভগবান রয়েছে, আয়ানের থেকে তাঁকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। মোহনাকে নিয়ে সবাই বাড়াবাড়ি করছে দেখে শুভ সেবন্তীকে এককোণে ডেকে নিয়ে গিয়ে মোহনার প্রতি সন্দেহর কথা জানালেও সেবন্তী বলে ওঠে ‘আর তোর আকাশকে জন্মদিনের গিফট পাঠানোর কথাটা আদি জান সেটার সময় তো কিছু হয়নি’। এরপর, বাড়িতে আসে আদি আর সমস্তটা শোনে।

এমন সময় আদিকে দেখে মোহনার ব্যথা-বেদনা যেনো আরও বেড়ে যায়। এমন সময়ে, শুভ মোহনাকে গেস্ট রুমে পৌঁছে দিয়ে আসে। বাড়ির সবাই বলে, মোহনার চোট সারানা পর্যন্ত সে যেন এই বাড়িতেই থাকে। এরপর, মোহনা শুভর সঙ্গে ঘরে যাওয়া মাত্রই সে তাকে বলে, ‘আমার এই তোমাদের বাড়িতে থাকা তোমার নিশ্চই পছন্দ হচ্ছে না বলো’। এই শুনে, শুভ বলে, ‘সে এই বাড়ির অতিথি, অসুবিধা হওয়ার কি আছে?’। এরপর, সংসারের নানা কাজ করতে গিয়ে বাড়ির সবাই লক্ষ্য করে শুভ অমনোযোগী হয়ে উঠেছে কাজে। এই দেখে ঠাম্মি শুভর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে চায়, এই সময় শুভ মোহনাকে নিয়ে সন্দেহের কথা বলে।