বিয়ের পর একটা মেয়ে সংসারের জন্য যতই করুক না কেন তাও সে পরের বাড়ির মেয়ে হয়েই থেকে যায়। বর্তমানে, কিছুটা এমনই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে। এই সিরিয়ালে আজকের পর্বে দেখা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বাড়িতে সবাই জেনে গেছে ডোনা মা হতে পারবে না। এই শুনে সেবন্তী তাঁকে সান্তনা দেওয়ার বদলে বলছে কেন তাঁকে কিছু জানায়নি ডোনা। এই শুনে ডোনা বলে, সে নিজেই এখনও পর্যন্ত বিষয়টাকে ঠিক করে মেনে নিতে পারছে না।
ডোনা বলে, সেবন্তী তাঁকে কোনোদিনও নিজের মেয়ে ভাবলে এমনভাবে তাঁর সঙ্গে ব্যবহার করতো না। এই সময়, রাগ করে ডোনা ও সেবন্তী দুজনেই চলে যায়। কিন্ত, এদিকে ডোনার কথা শুনে মনে মনে শুভ খুব খারাপ ভাবতে থাকে যে ডোনার এমন বিপর্যয়ে তাঁর পাশে নেই। শুভ ঠাম্মিকে বলে, সে বাড়ির পরিস্থিতি পুরোপুরি ঠিক করে দিত যদি আদি তাঁর পাশে থাকতো।
শুভ তাঁদের ঝামেলার বিভিন্ন কথা বলতে থাকে ঠাম্মিকে। এদিকে, দেখা যায় জিনিয়াকে নিয়ে গভীর আলোচনায় ব্যস্ত রূপক-আদি। রূপক তাঁকে জানায় জিনিয়া জোর করে ডোনার সব কথা তাঁর পেট থেকে বের করে। এরপর, সেই সব কথা গিয়ে পূরবীকে বলে। আদি বলে, সে কখনোই বিশ্বাস করে না যে জিনিয়া পাল্টে গেছে। এদিকে, আবার আদি মনে মনে ভাবতে থাকে মোহনার সঙ্গে স্টোরে কথা বলার ব্যাপারটা জিনিয়া কিভাবে শুভকে জানাবে? এই নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংশয়।
রূপক বলে, এই বাড়িতে জিনিয়া বিয়ে হয়ে এলে সংসারে অশান্তি থামবে না। এদিকে, আবার শুভ তাঁর দাম্পত্য জীবনে নাসার কথা মন খুলে বলতে থাকে ঠাম্মিকে। এমন সময়, সেবন্তী তাঁকে বলে সে চায় না তাঁর ছেলে অখুশি কিংবা অশান্তিতে থাকুক। সেবন্তীর কথা শুনে শুভ বলে সেও অশান্তিতে রয়েছে। তাঁরও ভালো লাগে না স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা করতেই। এই সময় শুভ বলে সেবন্তী তাঁকে কোনোদিনও বুঝতে চায়নি। শুভ রায় পরিবারের জন্য এতো করেছে তাও তাঁর মনের খোঁজ রাখে না সেবন্তী।
আরও পড়ুনঃ বাড়ির সবার সামনে ফাঁস হল বর্ষার কীর্তিকলাপ! বর্ষাকে বিয়ে করে ঠকেছে বুবলাই! সব জানার পরেও কি বুবলাই গ্রহণ করবে বর্ষাকে? কবে অশান্তি কমবে কমলিনীর সংসারে?
এরপর, জোর করে সেবন্তী শুভকে পাঠায় আদির সঙ্গে কথা বলতে। অন্যদিকে, মোহনা অনবরত ফোন করে যায় আদিকে। কিন্তু, আদি প্রাথমিকভাবে কিছুতেই তার ফোন ধরতে চায় না। অনেক পরে আদি মোহনার ফোন ধরলেও সে বলে পরে দেখা করবে। এরপর, ঘরে শুভ এলেও আদি তাঁকে জিনিয়াকে নিয়ে সন্দেহের কথা বলে। এরপর, শুভ বলে তাঁদের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা আদৌ মিটবে কি?
এরপর, পরদিন সকাল হতেই ঠাম্মি ঘর থেকে এসে কাউকেই না দেখতে পেয়ে সবাইকে ডাকতে শুরু করে। দাদুও বাইরের আসে কিন্তু কাউকেই দেখতে পায় না। এমন সময়ে শুভরা চুপিসারে পিছন থেকে এসে তাঁদের সারপ্রাইজ দেয় কারণ আজ তাঁদের ৫০তম বিবাহবার্ষিকী। আর, এই দিন উপলক্ষে বাড়ির সবাই মিলে সারাদিন হৈহৈ করবে, খাওয়া দাওয়া হবে বলে সেবন্তী।