শুভ-মোহনার মাঝে দিনে দিনে বাজে ভাবে ফেঁসে যাচ্ছে আদৃত। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, বাড়িতে দাদু-ঠাম্মির বিবাহবার্ষিকীর জন্য এসেছে অনেক অতিথি, সঙ্গে এসেছে আকাশরাও। এরপর, দাদু-ঠাম্মির বিবাহবার্ষিকীর জন্য শুভ বিশেষ পারফরমেন্স-এর ঘোষণা করে।
এরপর, বাড়ির সবাই মিলে প্রবীণ এই জুটিকে নিয়ে নাচে-গানে মেতে ওঠে। এমন সময়, শুভ সবকিছুর খেয়াল রাখতে থাকে মোহনার ওপর। এদিকে, আদি আজ ঠিক করেছে মোহনার সঙ্গে কোনোমতেই সে কথা বলবে না।
কিন্তু, এতোকিছুর মাঝেও বাড়িতে চলা অনুষ্ঠানের মধ্যে মোহনা আদিকে বারবার ফোন-মেসেজ করে বিরক্ত করতে থাকে। আর, এই সবটাই দূর থেকে বুঝতে পারে শুভ। এরই মধ্যে রূপক এসে আদিকে জিনিয়ার মায়ের ব্যাপারে বলছে যে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নাকি জিনিয়া-সমিতের বিয়ে হতে চলেছে। এই শুনে আদি বলে জিনিয়ার মায়ের ওপরেও তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে।
এরপর, আদি খেয়ালে ফোনটা একটা টেবিলে রেখে চলে গেলে মোহনা ফোন করে সেই সময়ে। অন্যদিকে মোহনার সেই ফোন ধরে শুভ। মোহনা সেই সময়ে শুভকে বলে আয়ানের সঙ্গে তাঁর খুব দরকার রয়েছে। এরপর, শুভর থেকে ফোন নিয়ে আদি মোহনার সঙ্গে কথা বলতে থাকে। আদি মোহনাকে জানায়, সে আজ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারবে না। কিন্তু, তাও মোহনা বলে আজ যদি সে তাঁর সঙ্গে দেখা না করে তাহলে মরেই যাবে।
এদিকে, শুভ মনে মনে ভাবে এতো বারণ করা সত্ত্বেও আদি মোহনার সঙ্গে কথা বলছে। তাহলে, সে কী করে আদির ওপর ভরসা করবে? এই ভাবতে ভাবতে আদি এসে বলে সে তাঁর(শুভ) ও মোহনার মাঝে দিনে দিনে ফেঁসে যাচ্ছে। সে না পারছে শুভকে খুশি করতে, না পারছে মোহনাকে দুঃখ দিতে।
এরপর, বিরক্ত হয়ে মনের দুঃখে আদি বাড়ির বাইরে গিয়ে একটা জায়গায় বলে আর ভাবতে থাকে সে বারেবারে শুভর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলছে। এমন সময় শুরুও হয়ে যায় বৃষ্টি। আর তার মধ্যেই মোহনা ছাতা নিয়ে আসে আদির কাছে। আদি বিরক্ত হলেও মোহনার আজ গুরুত্বপূর্ণ কথা নাকি তাঁকে শুনতেই হবে। এই সময় আদি বলে তার জন্য শুভর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। সে শুধু শুভকেই ভালোবাসে। হ্যা, মোহনার সঙ্গে তার বন্ধুত্বের একটা সম্পর্ক ছিল কিন্তু আজ তাও আর রইল না, বলে আদৃত রায়।
আরও পড়ুনঃ টলিউডের সফলতম খলনায়ক এবার রাজত্ব করবেন মুম্বইয়ে! টলিপাড়ার টাইপকাস্ট ভেঙে এবার বলিউডে নতুন রূপে ফিরছেন সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়!
এতো সবকিছু শোনার পর মোহনা বলে এরপর থেকে সে আর আদিকে বিরক্ত করবে না। তবুও মোহনা বলে, সে আদির সন্তানের মা হতে চলেছে। এই শুনে অবাক হয় আদি। মোহনা বলে, ‘সেইদিনের কথা কী তোমার কিছুই মনে নেই আয়ান?’ এরপর, সেই রাতের কথা মনে করতে থাকে যে রাতে মোহনার সঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় আনন্দ করছিল। অবশেষে, আদি বলে নেশায় থাকলেও তাঁরা এমনকিছু করেনি যে আজ তাঁকে এই কথা শুনে হবে। এমন সময়, মোহনা বলি এই সন্তানের ওপর তার যতটা অধিকার আছে আয়ানেরও ততটাই অধিকার রয়েছে।