মোহনার সঙ্গে আকাশের চুপিসারে দেখার কথা জানতে পারল শুভ! অশান্তির জন্য দাদার কাছে থাপ্পড় খেলো মোহনা! তবে, কী এবার পরিস্থিতির চাপে সত্যিটা সকলের সামনে আসতে চলেছে?

চুপিসারে মোহনার সঙ্গে আদির দেখা করার কথা জানতে পারল শুভলক্ষ্মী। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যাবে, মন্দির থেকে পূজো দিয়ে এসে শুভ বাড়ির সকলকে প্রসাদ দিচ্ছে। আর, তখনই শুভ পূরবীকে প্রসাদ দিতে গেলে তার ছেলেকে নিয়ে দু-চারটে কথা শুনিয়ে দেয় তাকে। এই শুনে কিছুটা রাগ হয় সেবন্তীর। সেবন্তী বলে, সে (শুভ) যখন সমিত-তুলির ব্যাপারটা জানত তখন কেন পূরবীকে বলেনি?

আজ শুভর না বলার জন্যই পূরবী ওর ওপর রাগ করেছে বলে সেবন্তী। এরপর শুভ মন খারাপ করায় তাকে সান্ত্বনা দিতে চায় ডোনা। কিন্তু সান্তনার বদলে ডোনা তাকে খানিক ভঙ্গিতে ভালো বৌমার তকমা নিয়ে দু-চারটে কথা শুনিয়ে দেয়। কিন্তু সেই সময় শুভ তাকে বোঝাতে গেলে ডোনা নিজেই নিজেকে দোষারোপ করে আর কথার ছলে সেদিন রাতে চুপিসারে মোহনার সঙ্গে আদির দেখা করার কথা বলে দেয়।

ডোনার কাছে এই ধরনের কথা শুনে শুভ অবাক হয়ে যায় এবং মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে আদি তাকে আর কোন মিথ্যে কথা বলতে পারেনা। আদির প্রসঙ্গ শুভর কানে তুলে দিয়ে ডোনা চলে যায়। অন্যদিকে দেখা যায় আকাশের কথায় মোহনার তৈরি হয়। কিন্তু, বেরোনোর সময় দেখতে পায় বাড়িতে তাকে দেখতে এসেছে অর্থাৎ তার জন্য বিয়ের দেখাশোনা চলছে।

এই দেখে মোহনা রেগে যায় আর মনে মনে ভাবে আকাশটাকে বিয়ের কথা না জানিয়ে ঠিক করেনি। এই সময় সুযোগ বুঝে মোহনা সকলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফলত পাত্র পক্ষরা রেগে চলে যায়। এরপরেই, দাদার সঙ্গে অশান্তি শুরু করে দেয় মোহনা। মোহনা জানায়, সে আয়ানকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবে না। এরপর, আকাশ মোহনার দিকে আত্মসম্মানের প্রশ্ন তুললে সে রেগে যায়।

অন্যদিকে, শুভ ঠাকুরের কাছে বসে মনের সব কথা বলতে থাকে। এই সময় শুভ মনে মনে ভাবে, আর যাই হোক আদি তাঁকে মিথ্যে কথা বলবে না। কিন্তু, তাও সেই রাতের কথা মনে করতে থাকে শুভ। এমন সময়, ঠাম্মি এসে তাঁর কাছে বসে আর বলে, কী হয়েছে? এরপর, শুভ তাঁর দুশ্চিন্তার কথা জানায়।

আরও পড়ুনঃ “আমি তোমার একার নই, আমার মন দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেছে”— ‘রোশনাই’তে লীনা গাঙ্গুলির সংলাপে মাথা ধরছে দর্শকদের! আরণ্যকের চরিত্রে যতটা গোলমাল, তার থেকেও বেশি গোলমাল সংলাপে! দর্শকদের কথায়, ‘লীনা ম্যাডামের স্ক্রিপ্টে নায়ক নয়, চরিত্রহীনতার প্রতীক হয়ে উঠছে আরণ্যক!’

এদিকে, অশান্তি করতে থাকা মোহনা উল্টে তাঁকে প্রশ্ন করে বলে, সেও তো শুভলক্ষী একবার ডাকাতেই চলে যায়। কেন? এই শুনে আকাশ তাঁকে চর মারে আর উত্তরে আকাশ বলে পুরোপুরি শুভলক্ষীকে ভুলতে না পারলেও সে নিজের সীমারেখা অতিক্রম করেনি। কিন্তু, মোহনা তাঁর অনুভূতির প্রতি কোনো নিয়ন্ত্রণই করতে পারছেনা। এরপর, শুভ ঘরে বসে কথায় কথায় আদিকে বলে সে সব সহ্য করবে কিন্তু মিথ্যে কথা সহ্য করতে পারবে না। এই শুনে আদিরও খুব খারাপ লাগে।