সুযোগ পেয়ে শুভকে কথা শোনাল পূরবী! এদিকে, সব সত্যি জানা সত্ত্বেও সেবন্তী শুভকে বলল মোহনাকে মেনে নিতে! কী সিদ্ধান্ত নেবে শুভলক্ষ্মী?

মোহনা আজ থেকে রায় বাড়িতেই থাকবে সিদ্ধান্ত নিল আকাশ। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, শুভ আদির ব্যাপারে সব সত্যিটা জানতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েছে। আর, আদির কাছে বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শুভ। কিন্তু, আদি কোনো উত্তরই দিতে পারছে না।

এমন সময়, শুভ বলে সে আর কাউকে কোনোদিন আদৌ বিশ্বাস করে উঠতে পারবে কি? এছাড়াও, শুভ এই পরিস্থিতি নিয়ে ঠাম্মিকে এমনকি তাঁর শাশুড়িকেও প্রশ্ন করতে থাকে। কিন্তু, ঠাম্মি কোনো উত্তর দিতে পারে না।

এমন সময়, সেবন্তী তাঁকে বলে সে খুবই যুক্তবাদী মেয়ে। সে যেনো সবটা মেনে নেয়। কারণ, মোহনার গর্ভে সে বাচ্চা আছে তা শুধু আদির সন্তানই নয়, সে রায় বাড়ির বংশধর। এই শুনে শুভ আরই অবাক হয়ে যায়। কি বলবে বুঝতে পারে না। শুভ বলে জিজ্ঞাসা করে, তাহলে তাঁর কি এখন সব ভুলে যাওয়া উচিত যে আদি তাঁকে দিনের পর দিন ঠকিয়েছে? সবটা কি আগের মতন আদৌ হবে?

শুভ এইসব প্রশ্ন করতে থাকে সুরভীকে। এমন সময়, মোহনা মনে মনে ভাবে সে এত্তক্ষন যেদিকে চাইছিলো সেদিকেই খেলাটা ঘুরেছে। মোহনা নাটক করে, সেবন্তীকে বলে সে’ই আসল মা। আরও বলে, এতদিন সে বুঝতে পারছিল না কীকরে একা একটা বাচ্চাকে বাবার পরিচয় ছাড়া বড়ো করবে? ধন্যবাদ জানায় সেবন্তীকে।

এমন সময়, সুযোগ পেয়ে পূরবী নানা ধরনের কথা শোনাতে থাকে শুভকে। পূরবী মনে মনে ভাবে, ‘আমি এতদিন ধরে চাইছিলাম তোর এখন অবস্থা হোক’। এরপর পূরবী বলে, মহান শুভ সে মোহনা ও তাঁর বাচ্চাকে ন্যায় দিক। এও বলে, এবার শুভ বুঝবে নিজের স্বার্থে ঘা লাগলে কতটা লাগে। পূরবী আরও অনেক কথা বলতে থাকে শুভকে।

আরও পড়ুনঃ “ঘাড় বেঁকিয়ে মুখ বেঁকিয়ে অভিনয় করতেন সুচিত্রা, আমি ছিলাম স্বতঃস্ফূর্ত”, “বহু ছবি দিয়ে বাদ পড়েছিলাম মহানায়িকার জন্য”— সুচিত্রা সেনকে নিয়ে পুরনো ক্ষোভ উগরে দিলেন লিলি চক্রবর্তী! মহানায়িকার সঙ্গে প্রথম কাজই ছিল তাঁর শেষ কাজ!

এরপর, রঞ্জিনীও সেবন্তীর দিকে আঙুল তুলে সন্তানকে মানুষ করা নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকে। এমন সময়, আদি সবাইকে বলে কেউ যেনো শুভকে কোনো কষ্ট না দিয়ে কথা বলে। অবশেষে আকাশ বলে সেই এখানে পারিবারিক কোনো নাটক দেখতে আসেনি। সে স্পষ্ট ভাবে এখানে জানাতে এসেছে তাঁর বোন আজ থেকে এখানে থাকবে। এমন সময় মোহনা মনে মনে ভাবে, তাঁর দাদার রাগ তাঁকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে কতটা সাহায্য করেছে সেটা নিজেও জানে না।