একটুর জন্য কেশবকে বড়ো বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিল শুভ। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, কোনোরকমে নিজের ঘর থেকে ছদ্মবেশী শুভ হজমির কৌটো নিয়ে পালিয়ে এসেছে রান্নাঘরে। এরপর, মনে মনে ভাবছে আর একটু হলেই আদির কাছে ধরা পড়ে যাচ্ছিল।
এমন সময়, শুভ একটু হজমি খেয়ে আবার নিজের কাজ করতে শুরু করে দেয় ছদ্মবেশী শুভ। এদিকে, মোহনা রান্নাঘরে এসে মনে মনে ভাবতে থাকে আয়ান কতদিনইবা শুভ শুভ করবে? আর কিছুদিনের মধ্যেই এই বাড়ি, রান্নাঘর, আয়ান সব তাঁর হবে। এরপর, মোহনা সোফায় বসে পূরবী ও ডোনার সঙ্গে গল্প করতে যায়।
এরপর, কথার ছলে মোহনার তাঁদের থেকে এই বাড়ির লোকেদের প্রিয় খাবার জানতে চায়। কিন্তু, দেখা যায় পূরবী তাঁকে সহজে মেনে নিলেও ডোনা তাঁর সঙ্গে খুব একটা ভালোভাবে কথা বলছে না। অন্যদিকে, দেখা যায় আকাশ তৈরী হচ্ছে মোহনার সঙ্গে দেখা করতে যাবে বলে।
এমন সময়, সুনন্দা বলে আজ তাঁর মেয়ে প্রেগন্যান্ট কিন্তু তাসত্ত্বেও সে মোহনার খুশির খবরে আনন্দ করতে পারছে না। এই শুনে আকাশ বলে মোহনা ওখানে ভালোই থাকবে। কিন্তু, তাঁর মা মনে মনে ভাবে শুভ ও তাঁর সন্তানের হায় মোহনার লাগলে কী হবে?
এদিকে, আবার দেখা যায় শুভ খুব ভালো করে মোহনার হাঁটাচলা সব কিছু লক্ষ করছে কিন্তু সে একটুও বুঝতে পারছে না যে মোহনা মা হতে চলেছে। এমন সময়, মোহনা না জেনেই আনারস খেতে যাচ্ছিল যা গর্ভবতীদের জন্য ক্ষতিকারক। এই সময়, শুভ এসে তাঁকে বাঁচিয়ে নেয় আর তখনই সেবন্তী লাকিকে প্রশ্ন করে সে কীকরে জানলো মোহনা প্রেগন্যান্ট?
এর উত্তরে শুভ বলে, এই বাড়ির সকলের কথা আগে থেকেই স্টেফনি তাঁকে বলে দিয়েছে। এরপর, দেখা যায় খেতে বসে সবাই লাকির রান্না করা খাবার খেয়ে খারাপ বলতে থাকে। আর, তখনই ডোনা এসে জানায় সে আর পারছে না কেশবকে সামলাতে। এমন সময়, লোক দেখিয়ে মোহনা কেশবকে খাওয়াতে গেলেও, কেশব তাঁর গায়ে বমি করে দেওয়ায় মোহনা তাঁকে কোল থেকে ফেলে দিতে চায়।
আরও পড়ুনঃ “শুধু টাকাই সব নয়, বিনোদনের আর কিছু নেই!” “পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে, থিয়েটারও আজ পাপেটখেলায় পরিণত হয়েছে!”— অনির্বাণের নিঃসঙ্কোচ স্বীকারোক্তি! থিয়েটার কেন মৃতপ্রায়? জানালেন অভিনেতা!
এরপর, শুভ কোনোরকমে কেশবকে বাঁচিয়ে নেয়। এমন সময়ে শুভ মনে মনে ভাবে, যে মা হতে চললো তাঁর মধ্যে মাতৃত্বের কোনো লক্ষণই নেই। এদিকে, আবার সেবন্তী ভাবে শুভ কী করে এমন অবস্থায় সকলকে ফেলে চলে গেল?