প্রান্তিকের হাত থেকে কথাকে বাঁচাতে আসলে অগ্নি। স্টার জলসার ‘কথা’ (Kotha) সিরিয়ালের আজকের পর্বে দেখা যাবে, কথার সঙ্গে বেরোবে অগ্নি। কারণ অগ্নির আজকে একটা অনেক বড় মিটিং আছে। আর এই জন্যই কথা অগ্নিকে সারাক্ষণ মাথা ঠাণ্ডা রাখার কথা বলে। কারণ অগ্নির মাথা গরমের জন্য মাঝে মাঝে ভয় লাগতে থাকে কথার।
এইসব শুনে অগ্নি কথাকে বলে তার নিজের খেয়াল রাখলে কারণ সে তার খেয়াল একেবারেই রাখে না। এরপর কথা অগ্নির কপালে ফোঁটা দিয়ে বলে, যান এবার বেরোন কিন্তু, ঠিক ১ মিনিট পরে। এইসব শুনে আবার বিরক্ত হয়ে পড়ে অগ্নি। এরপর কথা-অগ্নির নানান কথায় অগ্নি বেরিয়ে পড়লেও, কথা ভাবে সে জুনিকে নিয়েই বেরোবে।
এরপর কথা আর জুনি দোকানে গিয়ে দেখে এখানকার সিকিউরিটি একটা চিঠি দেয় তাঁকে। কথা দেখে এখানকার জমিটা আর তাদের নেই। এরপর কথা জুনিকে চিঠিটা দেখিয়ে বলে এই জমির মালিকের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তিনি হয়তো সেটা ভুলে গেছে। এরপরে মালিকের সঙ্গে কিছু আলোচনা করে বলে কথা এবং এমন ব্যবহার না করতে বারণ করে।
জমির মালিক কথাকে বলে যার কাছে তিনি জমি বিক্রি করেছেন তিনি নাকি খুব ভালো। এমন সময় এসে পড়ে প্রান্তিক। এদিকে আবার অগ্নির মিটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই সময়েই অগ্নি কপালে হাত দিয়ে ফোঁটাটা দেখে মুছে ফেলতে যায়। এমন সময়, একজন বলে যে ফোঁটাটা থাক, ওটা কথার শুভ কামনা এবং বলে কথা মেয়েটা খুব ভালো। এরপর নানা কথায় অগ্নি আবার মিটিং শুরু করে দেয়।
অন্যদিকে কথা যখন দেখে এই জমির মালিক প্রান্তিক তখন সে ভাবে, প্রান্তিকের নিশ্চয়ই কোনো মতলব রয়েছে। এই সময়ে জুনি ভয় পেয়ে প্রান্তিককে জিজ্ঞাসা করে, কেন সেই এই কাজটা করেছে? সে কেন ইচ্ছা করে কথার স্বপ্নটা নষ্ট করে দিচ্ছে? কখনোই সে এটা করতে পারে না।
এই সময় প্রান্তিক বলে ‘আমি কি পারি আর কি পারি না সেটা আমি নিজেই জানি’। প্রান্তিক আরো বলে তার সঙ্গে যদি এই ঝামেলার মিটমাট করতে চায় তাহলে তাদেরকে শান্ত হয়ে কথা বলতে হবে। এরপর কথা কে নিয়ে আলাদা ঘরে যেতে চায়। এরপর কথা প্রান্তিকে সঙ্গে একটা ঘরে চলে যায় এবং দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর প্রান্তিক বলে এই ঘরের দরজা একটা রিমোটের সাহায্যে খোলা এবং বন্ধ হয় কিন্তু রিমোটের ব্যাটারিও শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই কোনভাবেই দরজাটা আর খুলবে না।
এরপর জুনি বারবার অগ্নির কথা মনে করতে থাকে। প্রান্তিককে একদমই বিশ্বাস করে না জুনি, তাই সে ভাবে যা করার তাকেই করতে হবে। এমন সময় কথাও অগ্নির কথা বারবার মনে করতে থাকে। প্রান্তিক এবার মনের সমস্ত রাগের কথা বলতে থাকে কথাকে। এমনকি, প্রতিশোধ নেওয়ার কথাও বলে প্রান্তিক।
এরপর প্রান্তিককে সব কিছু শুনে কথা বলে সে কেবল প্রতিবাদ করেছে। এদিকে অগ্নি বিজনেস মিটিং এর ব্যস্ত বলে যোনি তাকে বারবার ফোন করলেও সে ফোন ধরতে পারে না। এরপর জুনি বারবার ফোন আসাতে অগ্নিকে ফোনটা ধরতে বলে মিস্টার রায়। এরপর জুনি তাকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা বলে।
আরও পড়ুনঃ নদীয়াতে আকাশের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছে শুভ! এবার কি পুরনো জায়গাতে গিয়েই স্মৃতিশক্তি ফিরে পাবে আদৃত ?
এরপর সব ঘটনা শুনে অগ্নি বেজায় রেগে যায় এবং মিটিংয়ের মাঝপথ থেকেই সে বেরিয়ে আসে। এদিকে কথার সঙ্গে প্রান্তিক খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। অবশেষে অগ্নি চলে আসে কথা কে বাঁচাতে। অগ্নির গলা শুনতে পেয়ে কথা কিছুটা হলেও স্বস্তি পায়।