“এখনকার ছেলেমেয়েদের ভাষা এত খা’রাপ, এত নোংরা, মুখে গালা’গা’লি! এদের সঙ্গে তেঁতো হাসি হেসে চলতে হয়! নতুন প্রজন্মের তারকাদের নিয়ে বি’স্ফো’রক তনিমা সেন

Tonima Sen: বাংলা সিনেমা এবং ধারাবাহিকের জগতে তিনি একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান খ্যাতনামা শিল্পী। তার আভিনয়ের জাদুবলে তিনি বাংলার দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা এবং ধারাবাহিক। পথ ও প্রাসাদ, প্রতীক, কড়াপাক, বর আসবে এখুনি, গোগোলের কীর্তি, ব্রেক ফেল, কণ্ঠ, আলিনগরের গোলকধাঁধা, অভিশপ্ত নাই’টি, টাইগার, প্রেম বাই চ্যান্স, ঘরে অ্যান্ড বাইরে সহ একাধিক সিনেমায় আভিনয় করেছেন অভিনেত্রী তনিমা সেন (Tonima Sen)

তবে শুধু বড় পর্দাতেই নয়, ছোটপর্দাতেও রয়েছে তার অবাধ বিচরণ। জন্মভূমি, বিবি চৌধুরানী, প্রেমের ফাঁদে, ফিরকি, দেবী চৌধুরানী, কাজললতা, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ, সৌদামিনীর সংসার, সাঁঝের বাতির মতো একাধিক ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন অভিনেত্রী। এছাড়াও কালার্সের জনপ্রিয় ধারাবাহিক স্বরাগিণীতেও নিজের অভিনয়ের ছাপ ফেলে রেখেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি অভিনয় করছেন দুটি ধারাবাহিকে। একটি বর্তমানে স্টার জলসার সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় ধারাবাহিক এবং অপরটি কালার্স বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক রাম কৃষ্ণ।

সম্প্রতি এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর সাক্ষাৎকার নিতে রামকৃষ্ণের সেটে গিয়েছিলেন একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা। সেখানেই অভিনেত্রী তুলে ধরেছেন বর্তমান প্রজন্মের এবং স্বর্ণযুগের নানা তথ্য। অভিনেত্রী জানিয়েছেন “জীবনে অনেককিছুই ঘটে কিন্তু বাড়ির দুঃ’খ শুটিংয়ের সেটে বয়ে আনা আমি পছন্দ করিনা। নিজেকে ভালোবাসি, তাই মনে হয় নিজেকে ভালো রাখতে হবে তাহলেই সবাইকে ভালো রাখতে পারব। সবটাই ওপরওয়ালার দান। আমি কখন কমেডি দৃশ্যে সমস্যা হয় আবার কান্নার দৃশ্যেও আমি গ্লিসারিন ছাড়াই কেঁ’দে ফেলি।

বর্তমান সময়ের অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে তিনি বলেছেন “আমি এযুগ সেই যুগ জানিনা। সেসময়কার নায়ক নায়িকারাও বলতেই তারাই ভালো তখন আমরা ভাবতাম আমরাই বা খারাপ কিসে! সুতরাং আমি এইভাবে ভাবি না। তারপর দিন বদলেছে, রঙ বদলেছে। আর আমি যেহেতু থেকে গেছি তাই সবটা অত মনে হয়নি। যদিও বদল হয়েছে। এখনকার ছেলেমেয়েদের ভা’ষা বলো, বড়দের সম্মান করা বলো। সব কিছুতেই চমক এসেছে। আমি হয়ত খা’রাপ বলব কিন্তু পাঁচজনের হয়ত ভালো লাগছে তাই এই চমক এসেছে। আমি এখন বোঝদার হয়ে গেছি নেবং বোঝা বইবার ক্ষমতাও এসেছে। আমি বুঝে গেছি এদের সঙ্গে থাকতে গেলে মুখে তেঁতো হাসি রেখে সমমানটা বজায় রেখে চলতে হবে।“

আরো পড়ুন: বিদায়! দর্শকদের চো’খের জ’লে ভাসিয়ে অবশেষে জলসার পর্দায় শে’ষ হল রামপ্রসাদ! মি’স করবেন আপনারা?

“এখনকার ছেলেমেয়েদের বাবা মা কাকা বলার মতোই খারা’প কথা বলাটা অভ্যেস হয়ে গেছে। কে আছে কি আছে কিছুই ভাবে না। বিশেষ করে অল্পবয়সী মেয়েরা। খুব নোং’রা কথা, বলার পর থমকে গিয়ে বলে কিছু মনে কোরোনা। কিন্তু তুই মনে করতে না বললে কি হবে আমার মনে তো করে গেছে। তখন হয় ঘর থেকে বেরিয়ে যাই নাহলে ফোন মন দিই। এই খি’স্তি দেওয়াটা বিশ্বায়ন নয়। আরও অনেক পথ আছে। কোথায় গালা’গাল দেব সেটার একটা ক্ষেত্র বিশেষ আছে। দিনদিন নীচে নেমে যাচ্ছে। যেখানে সম্মান পাইনা সেখান থেকে আমি সরে যাই। তখন সবাই অস্বাভাবিক অভিনয় করতেন। আমায় চে’পে ধরে কাজ কেউ করায়না। কিন্তু আমি মাত্রাটা জানি। পার্থদা আর বাসন্তীর ব্যাপারটা ভাবলে খুব খারাপ লাগে পরিবার পাশে না থাকলে তার যা যন্ত্র’ণা আমি বুঝি’। জানিয়েছেন অভিনেত্রী।