শিমুলের প্রতি দুর্বল হচ্ছে পরাগ! রঞ্জার অপমানের হাত থেকে শিমুলকে রক্ষা করল সে! মনের কথায় মহা ধামাকা

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথায়’ (Kar Kache Koi Moner Katha) বিরাট পরিবর্তন। গল্পের শুরু থেকেই দেখা যায় নায়িকা শিমুল তাঁর শ্বশুরবাড়ির সবার চক্ষুশূল। বিয়ের পর একদিনের জন্যও সে তাঁর স্বামী পরাগের ভালোবাসা পায়নি। উল্টে নিত্য অপমানে জর্জরিত হতে হয়েছে তাঁকে। অবশেষে পরাগকে ডিভোর্স দেয় শিমুল। বিবাহ বিচ্ছেদ হয় দুজনের।

তবে বিচ্ছেদের পরেও শান্তি নেই! শিমুলের চোখের সামনেই প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে পরাগ। কিন্তু বিয়ের দিন সকালেই ঘটে যায় মস্ত অঘটন। প্রতীক্ষা ও পলাশের যৌথ ষড়যন্ত্রে পরাগ কে বিষ খাওয়ায় প্রতীক্ষা। তাঁদের অভিসন্ধি ছিল শিমুলকে ফাঁসানো ও তাঁকে মিথ্যে অপবাদে শাস্তি দেওয়া।

কিন্তু, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে ঘরে ফেরে শিমুল। দশ বছরের সাজা হয় প্রতীক্ষার। শিমুল নির্দোষ প্রমাণ হতেই একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে যায় মধুবালা দেবী ও পরাগ। শিমুলের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে ফের একটা সুযোগ চায় পরাগ। কিন্তু মধুবালা দেবী বলে,তাঁর ছেলে নিজেই নিজের পায়ে কুড়ুল মেরেছে!

এদিকে, বাড়িতে পুতুল দির বিয়ে। মাস্টারমশাই তীর্থঙ্করের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে পুতুলদি। পুতুলদির আশীর্বাদের দিন শিমুলও এসেছে সেখানে। উপস্থিত রয়েছেন বাড়ির সবাই। মধুবালা দেবী তীর্থঙ্করের বাড়ির লোকজনদের আপ্যায়ন করতে চাইলে রঞ্জা বলে, তাঁরা শুধু আশীর্বাদী অনুষ্ঠান সেরেই ফিরে যাবে। এমন সময় সেখানে হাজির হয় পুতুল দি।

পুতুল রঞ্জাকে ‘কটকটি’ বলে সম্বোধন করে। তখন রঞ্জাও রেগে লাল হয়ে দু-চার কথা শুনিয়ে দেয়। শিমুল পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে রঞ্জা তাঁকে বলে আপনি তো এ বাড়ির কেউ নন! এই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। তবে আপনি এত কথা বলছেন কেন! তখনই শিমুলের হয়ে রুখে দাঁড়ায় পরাগ। সে বলে, শিমুল নিজে এ বাড়ি ছেড়ে মোটেও যেতে চায়নি। আমি আর আমার ভাই তাঁকে বাধ্য করেছি এই বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য।