জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো পিলু। শুরুর দিকে খুব ভালো ফলাফল করছিল তবে মাঝে একটু ঝিমিয়ে গেলেও বর্তমানে দুর্দান্ত হচ্ছে ধারাবাহিক। বর্তমানে অনেকটাই ফোকাস দেওয়া হচ্ছে মল্লার এবং রঞ্জার প্রতি। তবে গল্প সব মিলিয়ে দেখতে খারাপ লাগছে না।
আমরা দেখেছি যে গত পরশু রঙ্গন এর সঙ্গে মল্লারের বিধবা বোন মল্লিকার বিয়ে দিয়েছে আহীর পিলু রঞ্জা। যেখানে রঙ্গনের বাবা উপস্থিত ছিল কিন্তু মা কিছু জানে না। মল্লারও কিছু জানেনা। আহীর নিজের হাতে বোনকে সম্প্রদান করেছে।বিয়ের সময় মল্লার কোথা থেকে খবর পেয়ে ছুটে এসেছে, বাধা দিতে গেলে তার সঙ্গে আহীরের মারপিট বেঁধে যায়।
মল্লারের মাও ব্যাপারটা মেনে নিয়েছেন তবে তারা যখন বসুমল্লিক বাড়িতে যায় তখন দাদু গোটা ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে যায় আর নিজের গোঁড়ামি প্রকাশ করে ফেলে। আহির ভীষণ রেগে যায় আর পিলুকে বলে এক্ষুনি সব জিনিস গোছাও, আমরা এখান থেকে বার হয়ে যাব। পিলু যথারীতি মধ্যস্থতা করতে আসে।
অন্যদিকে রঞ্জা প্রতিবাদ করে বলে বিধবা বিবাহ আইন অনুযায়ী তো অন্যায় নয় তখন মল্লার রঞ্জাকে কথা শোনায়। এরপরে রঙ্গন মল্লিকাকে নিয়ে সুরমন্ডলের অতিথিশালায় আসে। খবর পেয়ে রঙ্গনের মা আসে আর গোটা ব্যাপারটা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না আর মল্লিকাকে স্বীকার না করেই চলে যায়। বাকিদের সহায়তায় সুরমন্ডলে প্রবেশ ঘটে মল্লিকার।
অনেকেই পেয়েছিলেন শিঞ্জিনীর সঙ্গে রঙ্গনের বিয়ে হোক তবে পরবর্তীকালে গল্পের পরিবর্তনের শিঞ্জিনীর অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যায়। তবে এখানে যে বিধবা বিবাহ কনসেপ্ট দেখানো হয়েছে তাতেই দর্শকরা ভীষণ খুশি। তারা বলছেন যে বাংলা সিরিয়ালে এরকম ইউনিক কনসেপ্ট আগে খুব একটা আসেনি।
বিদ্যাসাগর যে প্রথা প্রবর্তন করে গেছিলেন তার শতবর্ষ পরেও আমরা এখনো বিধবা বিবাহ দিতে গেলে ১০০ বার ভাবি।কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে পিলু আহীর রঞ্জা মল্লিকার ভবিষ্যতের কথা ভেবে রঙ্গনের সঙ্গে তার বিয়ে দিয়েছে আর রঙ্গন নিজেও রাজি হয়েছে মল্লিকাকে বিয়ে করতে।
তাই দর্শকরা বাহবা দিচ্ছেন পিলু ধারাবাহিককে।মাঝে মাঝে ধারাবাহিকে গল্পের গরু গাছে ওঠে ঠিকই কিন্তু সামাজিক বিষয়গুলোকে যখন সমর্থন করে সেইগুলো দেখানো হয় ধারাবাহিকে তখন দর্শক ঠিক সেগুলোকে গ্রহণ করে।