কেয়া বাত! জেঠুর বুদ্ধির জোরে পর্ণাকে নিয়ে দত্ত বাড়িতে ফিরল সৃজন! স্মৃতি কী ফিরবে নায়িকার? নিম ফুলে বিরাট ধামাকা

Neem Phooler Madhu Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিকে নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu)। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। তবে যতদিন গেছে ততই বেড়েছে ধারাবাহিকের টিআরপি। যদিও সম্প্রতি ধারাবাহিকের নতুন ট্র্যাকের খানিকটা প্রভাব পড়েছে টিআরপি তালিকায়। পর্ণার না হওয়ার পর থেকে একেবারেই বদলে গেছে ধারাবাহিকের কাহিনী। ধারাবাহিকে ফিরে এসেছে ঈশা। তবে এবার পর্ণার জীবন অতিষ্ঠ করতে তুলতে ঈশা, মৌমিতা এবং অয়নের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পর্ণার নতুন শত্রু সুইটি।

মৌমিতা, অয়ন আর সুইটির সমস্ত চক্রান্ত জেনে যাওয়ার ফলে মৌমিতার হাতে ধাক্কা লেগে স্মৃতিভ্রষ্ট হয় পর্ণা। এরপর ঈশার ফন্দিতে পর্ণাকে মারতে যায় অয়ন। যদিও পর্ণার কিছু মনে নেই শুনে নিজেদের পরিকল্পনা স্থগিত করে দেয় অয়ন। পর্ণার এই পরিস্থিতি দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় মৌমিতা আর সুইটি। কিন্তু প্রচণ্ড ভেঙে পড়ে সৃজন। ডাক্তার স্পষ্ট জানিয়ে দেন কোনভাবেই পর্ণার মাথায় বিশেষ চাপ দেওয়া যাবে না। তাহলে সারাজীবনের জন্য স্মৃতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে পর্ণার।

পর্ণার এই পরিস্থিতি দেখে অয়ন জেঠুকে বলে এই সব কিছুর থেকে সরে আসতে। কিন্তু পর্ণার এই পরিস্থিতি দেখে নিজেকে দূরে ঠেলে রাখতে পারেননি জেঠু। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে করেই হোক পর্ণাকে দত্ত বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে যাবেন তিনি। দিদির এই পরিস্থিতি দেখে দেখে ভেঙে পরে পিকলু। তখন বর্ষা পিকলুকে বলে তাকে শক্ত হতে হবে। যে করেই হোক পর্ণাকে বাবা মায়ের কথা বলা যাবে না। তখনই একটি বুদ্ধি বের করেন জেঠু।

জেঠুর বুদ্ধিতে পর্ণাকে দত্ত বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেল সৃজন

তখনই ভিতরে গিয়ে জেঠুর পরিকল্পনা অনুযায়ী পিকলু পর্ণাকে জানায় তার মা বাবা মুম্বাইতে চলে গেছে কাজের জন্য আর মেয়ের এরকম পরিস্থিতি শুনলে তারা কষ্ট পাবেন তাই এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি তাদের। পিকলুর কথা শুনেই আর কিছু বলতে পারেনা পর্ণা। তখনই পিকলু পর্ণাকে বলে তাদের বাড়িতে মেরামতির কাজ চলছে তাই এখন তারা দুজনে বাবার বন্ধু অমিতোষ দত্তের বাড়িতে থাকবে। কিন্তু পিকলু কথা একেবারেই শুনতে চায়না পর্ণা ফলত নতুন ফন্দি আঁটেন জেঠু।

আরও পড়ুন: দুঃসংবাদ! ফের মৃত্যু টলিপাড়ায়! প্রয়াত জনপ্রিয় এই অভিনেতা

মজুর সেজে পর্ণাদের বাড়িতে সকলকে নিয়ে চলে যান জেঠু। বাড়ির পরিস্থিতি দেখে অবাক হয়ে যায় পর্ণা। বাধ্য হয়ে সে ফোন করে বাবাকে। ওদিক থেকে অমিতোষ দত্ত ফোন ধরে পর্ণাকে বলেন দত্ত বাড়িতে চলে যেতে। বাবার কথা শুনে সৃজনের সঙ্গে দত্ত বাড়ির দিকে রওনা দেয় ওকে পর্ণা। ওদিকে পর্ণা ফিরছে শুনে রেগে যায় সুইটি, অয়ন, মৌমিতা। সুইটি ঠিক জিরে নেয় সে পর্ণাকে জোর করে অতীতের কথা মনে করানোর চেষ্টা করবে যাতে পর্ণা মারা যায় আর সে সৃজনকে বিয়ে করতে পারে। তাহলে কি এবার পর্ণার ক্ষতি করার জন্য আরও বড় কোন চক্রান্ত করবে সুইটি? আপনাদের কি মনে হয়?