জি বাংলার ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ফুলকির হাতে মার খেয়ে শিবু গুন্ডা স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হয়, কিন্তু মনে মনে ঠিক করে নেয় যে সম্পূর্ণ সত্যি বলবে না। ছোট রানীমার ক্ষতি হতে পারে এমন কোনও তথ্য সে দেবে না, এমনটাই ঠিক করে শিবু। স্বীকারোক্তিতে শিবু বলে, সে কোনও লোককে দেখেনি বরং একটা নম্বর দিয়ে তাদের কাছে ফোন আসতো। ফোনে পাওয়া নির্দেশ অনুযায়ী তারা মানুষ অপহরণ করে ‘মুড়িপুকুর’ নামের একটি জায়গায় রেখে আসত।
শিবু স্বীকার করে নেয় ফুলকির বাবা সত্যেন দাস কে তারাই অপহরণ করেছেন কিন্তু এরপর কি হয়েছে তা জানা নেই। ইন্সপেক্টর স্বাগতা ম্যাডাম ফুলকিকে আশ্বাস দেন যে খুব তাড়াতাড়ি এবার তাঁর বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাবে। অন্যদিকে ধানু আর আদিত্যর প্রথম ডেট পরিণত হয় আংটি বদল পর্বে, বিয়ের জন্যে ধানুর কাছে নতুন করে মত চায় আদিত্য। এরপর ফুলকি বাড়ি ফিরে আসতেই রোহিতের কথা খুব মনে পড়তে থাকে তাঁর।
ফুলকি বলে, “এর আগে যখনই কোনও সমস্যার মধ্যে পড়েছি, স্যার সব সময় আমায় সাহস যুগিয়েছে। আর এবার কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না।” হঠাৎ উদ্বিগ্ন হয়ে এসে লাবণ্য ফুলকিকে জানায় যে ধানুর বিয়ে এগিয়ে এসেছে এবং সেটা কাল। ফুলকি এই কথা শুনে খুব চিন্তায় পড়ে যায় যে এবার কি করে সবদিক সামলাবে সে! নিচে সবাই ফুলকিকে আয়োজনে সাহায্য করতে ডাকতে থাকে।
আর ঠিক সেই মুহূর্তেই স্বাগতা ম্যাডাম ফোন করে জানান, শিবু যে নম্বরটা দিয়েছিল সেটার কোনও অস্তিত্ব নেই! স্বাগতা ম্যাডাম বলেন এবার একমাত্র মুড়িপুকুর যাওয়া ছাড়া রাস্তা নেই, ফুলকি বলে সেও যাবে। একদিকে ধা বিয়ে অন্যদিকে বাবা, কোন দিকে যাবে বুঝতে পড়েনা সে। ধানুকেই সোজাসুজি বলে ফুলকি যে বাবাকে খুঁজতে যেতে হবে তবে বিয়ের আগে সে ফিরে আসবে। ধানু ফুলকিকে কথা দেয় যে তাঁকে ছাড়া বিয়ের পিঁড়িতে বসবে না সে!
একদিকে বিয়ের সন্ধ্যেতে ধানুর কোণের সাজ চলছে আর ছোট রাণীমা এসে একটি আশীর্বাদের গয়না দেন কুল দেবতার তরফ থেকে বিয়েতে পড়ার জন্য। নানান কথার মাঝে ধানুকে জানতে চান তিনি ফুলকির খোঁজ, ধানু বলে ফুলকি তাঁর বাবার খোঁজে গেছে, আর ফুলকি না আসা পর্যন্ত বিয়ে করবে না সে। রাণীমা চিন্তায় পড়ে যান যে ফুলকি যদি মুড়িপুকুরে পৌঁছে যায় তবে সকিছু বরবাদ হয়ে যাবে।
তিনি তড়িঘড়ি ছোট কুমার ইন্দ্রকে ফোন করে বলেন যে, জায়গাটা পরিষ্কার করতে হবে, কারণ ফুলকি হয়তো সেই দিকেই গেছে। ইন্দ্র জানায় যে সব লোকেদের গাড়িতে তুলে দিয়েছে, আর কোনও চিন্তা নেই। রাণীমা সতর্ক করে বলেন যে ফুলকির অনেক বুদ্ধি তাই যেন সে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পালিয়ে যায় সেখান থেকে। অন্যদিকে ফুলকির বাবা তাঁকে তুলে আনার কারণ জানতে চান অপহরণকারীদের।
আরও পড়ুনঃ “আপনার যদি মা-বাবা না থাকত, তখন বুঝতেন একা বড় হওয়ার যন্ত্রণা!” “এখন যদি কৃষভির নতুন মা আসে কি করবেন?” মেয়ের আসল মা দিদা! মায়ের নামে কলঙ্ক, ফের কটাক্ষের শিকার কাঞ্চনপত্নী শ্রীময়ী!
তারা জানায় যে তাঁকে পাচার করে দেওয়া হবে, সেখানে লেবারের কাজ করতে হবে তাঁকে। ফুলকি ভগবানকে ডাকতে ডাকতে এগিয়ে চলে পুলিশের গাড়ি করে। ঠিক এমন সময় পুলিশের চোখে পড়ে একটা মালগাড়ি, সন্দেহ হওয়াতে সেই ব্যক্তিকে চেপে ধরতেই দেখা যায় সেই গাড়িতেই রয়েছেন ফুলকির বাবা সহ বাকি লোকেরাও। অবশেষে ফুলকি সফল হল নিজের বাবাকে খুঁজে বের করতে কিন্তু রানী মার সত্যি কি বের করতে পারবে ফুলকি? এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে!
খাকি টু সাফল্য পেতেই টলিউড ছেড়ে এবার বলিউডে মনোনিবেশ জিতের! টলিউডে আর পোষাচ্ছে না সুপারস্টারের?