ভুবন বাদ্যকর, এই নামটা কিছুদিন আগেও অচেনা থাকলেও এখন এই নামের সঙ্গে সকলেই পরিচিত। বীরভূমের সেই ভুবন বাদ্যকর অবশ্য ‘বাদাম কাকু’ নামেই খ্যাত। পেশায় বাদাম বিক্রেতা এই ভুবন বাদ্যকর নিজের ‘কাঁচা বাদাম’ গানের জেরে আজ ভাইরাল। তাঁর এই গান দেশ তো বটেই, বিদেশের মাটিতেও দেদার বাজছে।
এই ভুবন বাদ্যকরই এসেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘দাদাগিরি’ খেলতে। মঞ্চে তাঁকে নিজের চেনা ছন্দেই দেখা যায়। সেই সাদামাটা পোশাক, কপালে রসকলি কেটে সকলের সামনে হাজির হন তিনি। এদিন ‘দাদা’র জন্য বীরভূমের কাঁচা বাদাম উপহার হিসেবে নিয়ে আসেন বাদাম কাকু। খেলা চলার ফাঁকে বাকি প্রতিযোগীদেরও খাওয়ান তাঁর কাঁচা বাদাম।
এদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে এত কাছ থেকে দেখে যেন নিজের আনন্দ ধরে রাখতে পারছিলেন না। একের পর এক রাউন্ড দুরন্ত গতিতে খেলার পর শেষ বাজিটাও তিনিই জিতলেন। এদিনের পর্বের বিজয়ী হলেন সেই বাদাম কাকুই। সৌরভের হাত থেকে তুলে নিলেন ‘দাদাগিরি’র ট্রফি। আবার নিজের সেই গান যা তাঁকে এত ভাইরাল করেছে, সেই গানও শোনাতে ভোলেন নি কিন্তু।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভুবন বাদ্যকর জানান যে তিনিয়ার বাদাম বিক্রি করবেন না। এই বিষয়ে তাঁর সাফ মন্তব্য, “আমি এখন সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছি। এখন বাদাম বিক্রি করলে সবাই ঘিরে ধরবে, বাদামই বিক্রি হবে না। আর আপনাদের কাছে যখন পৌঁছে গিয়েছি, তখন আর আশা করি, বাদাম বিক্রি করতে হবে না”।
বলে রাখি, গত বৃহস্পতিবার বীরভূমের ইলামবাজারের এক মিউজিক সংস্থা গোধূলি ভুবন বাদ্যকরের সঙ্গে তিন লক্ষ টাকার একটি চুক্তি করেছে। এদিন এই কোম্পানি ভুবন বাদ্যকরের ‘কাঁচা বাদাম’ গানের কপিরাইট কিনে নিয়েছে। এবার থেকে কেউ যদি এই গান ব্যবহারের চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁকে আইনি অনুমতি নিতে হবে।
সেদিন ইলামবাজারের অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভুবন বাদ্যকর বলেন, “ওরা আমাকে সংবর্ধনা দিল। আর তিন লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছে”। উল্লেখ্য, এদিন চুক্তি স্বাক্ষর করার পর ভুবন বাদ্যকরকে দেড় লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। পরে আরও দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হবে ‘বাদাম কাকু’কে।