BIG NEWS: মাথায় মুখে আঘাতের চিহ্ন, গাফিলতিতেই শেষ, সংগীতশিল্পী কেকে’র মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের! হবে ময়নাতদন্ত, জানুন বিস্তারিত তথ্য
সঙ্গীতপ্রেমী মানুষ কী বলবে বুঝতে পারছে না, শুধু দু চোখের কোণ দিয়ে অঝোরে ঝরে পড়ছে জল। শুধু বাঙালি কেন, অবাঙালিরাও যাদের বেড়ে ওঠা একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে তারা কেউ ঘুমাতে পারেনি গতকাল রাতে। তার প্রমাণ ফেসবুক পোস্ট। সারা রাত লুপে চলেছে তার গাওয়া গান,তিনি কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। কলকাতায় এসেছিলেন মানুষকে আনন্দ দিতে আর নিজেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
গতকাল রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ যখন খবরটা ভেসে উঠলো সংবাদমাধ্যমের পাতায় আর পর্দায়, মানুষ যেন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিল না যে তাদের প্রিয় গায়ক কেকে আর নেই।পরশু দিনই তাকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে ‘জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি গায়ক’ রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব্য নিয়ে।যিনি প্রশ্ন করেছিলেন কেকে’র শো দেখতে এত ভিড় হয় কিন্তু তার শো দেখতে এত লোক আসে না কেন? কী এমন আছে? হু ইজ কেকে? গতকাল রাতে আশা করি তিনি তার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন, এরকমটাই বলছেন শোকাহত নেটিজেনরা।
কিন্তু তার মৃত্যু নিয়ে উঠেছে অনেক প্রশ্ন। কলকাতা তাকে ডেকে এনে মেরে ফেলল, এরকমটাই বলছেন যারা গতকাল নজরুল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। আমরা যদি কালকের অনুষ্ঠানের ভিডিও ক্লিপিংস দেখি তাহলে আমরা দেখতে পাবো যে বারবার ঘাম মুচ্ছেন কেকে, তার কিন্তু কষ্ট হচ্ছে, বারবার জল খাচ্ছেন। আর কিছুক্ষণ পরেই জানা যায় হোটেলে ফিরে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে সব শেষ।
এখানে প্রশ্ন উঠেছে প্রচুর। আজ সকালের কলকাতায় এসেছেন তার স্ত্রী ও পুত্র, ময়না তদন্ত হবে তার দেহের।জানা গিয়েছে তার মাথায় আর মুখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে তাই প্রশ্ন উঠছে যে তিনি কনসার্ট সেরে হোটেলে ফেরার সময় কি সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন? গ্র্যান্ড হোটেল থেকে সিএমআরআইতে নিয়ে যাওয়া হল কেন? কাছেই তো মেডিকেল কলেজ ছিল, ওখানে কি আপদকালীন ভিত্তিতে নিয়ে গেলে চিকিৎসা হত না? তাহলে এটাই বলতে হয় সরকারি হাসপাতালের অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে খুব খারাপ।
তার মৃত্যুতে নিউমার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখতে হোটেলের এবং অনুষ্ঠান মঞ্চের সিসিটিভির ফুটেজ। গরমে নজরুল মঞ্চে পাঁচ হাজার লোক ঢুকিয়ে ছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ, রাগ করে এসি বন্ধ করে দিয়েছিল নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষ। অসহ্য গরমে কষ্ট পাচ্ছিলেন কেকে, তার সঙ্গে ছিল চড়া আলো। বারবার বলছিলেন লাইট বন্ধ করো, আমার পিছনে জ্বলে যাচ্ছে। কেউ কথা শোনেনি আর তার মাশুল গুনতে হলো দেশের অন্যতম সেরা সংগীত শিল্পীকে।