নতুন বছর আসার সাথে সাথে যে নতুন চমক অনেক জায়গাতেই দেখা যাবে সে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে এবার সেই চমক আরো বেশি বাড়িয়ে দিতে চলেছে বাংলার ছেলে তথা ভারতীয় সংগীত জগতের একজন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী অরিজিৎ সিং। রিয়েলিটি শো থেকে ওঠার পরে বাংলার এই জাদু কণ্ঠী শিল্পীর গলায় মুগ্ধ হয়েছে গোটা পৃথিবী। আজ তার খ্যাতি আকাশ ছুঁয়েছে।
তবে বর্তমানে কাজের সূত্রে তাকে মায়ানগরীতে থাকতে হলেও সময় সুযোগ পেলেই চলে আসেন বাংলার মুর্শিদাবাদে তার দেশের বাড়িতে। সেখানে থেকে একদম সাধারণ জীবন যাপন করেন। এমনকি তার এত জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও এত সাধারন জীবনযাপন সবসময়ই তাকে নেটিজেনদের প্রশংসার পাত্র করে দিয়েছে। এবার তাকে কাছ থেকে দেখার জন্য ১৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা শুনে অনেকেই অবাক হচ্ছে।
প্রসঙ্গত এবার শোনা যাচ্ছে আগামী বছর শুরুতেই পুনেতে একটি কনসার্ট করতে চলেছেন অরিজিৎ সিং। কিন্তু সেই কনসার্টের টিকিটের দাম শুনলে আপনি চমকে উঠবেন। সাধারণ মানুষের জন্য নিজের পছন্দের শিল্পীকে কাছ থেকে দেখার জন্য এবং তার গান শোনার জন্য যে মূল্য দিতে হবে তা সত্যিই অসম্ভব।
প্রসঙ্গত এই কনসার্টে অরিজিৎকে কাছ থেকে দেখার জন্য দিতে হবে ১৬ লক্ষ টাকা!আর যদি আপনি বাইরে দাঁড়িয়ে বড় পর্দায় অনুষ্ঠান দেখতে চান তবে একেবারে শুরুর দিকে টিকিট কাটলে দাম পড়বে ৯৯৯ টাকা। এর পর ভিতরে কিংবা অনুষ্ঠান চত্বরের কাছাকাছি থাকতে চাইলে সেই দাম আরো বাড়বে। ভিতরে মাত্র চল্লিশটি আসন রয়েছে।
তবে এই মূল্য প্রকাশ্যে আসার পরেই অনেকের মনে প্রশ্ন এসেছে যে কেন এত দাম পড়তে চলেছে অরিজিৎ সিং এর কনসার্টের? শোনা যাচ্ছে প্রিমিয়াম লাউঞ্জে বিলাসবহুল ব্যবস্থা থাকবে। খাবারের সঙ্গে পানীয় নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে ইচ্ছামত। সেই সঙ্গে স্টাটার এবং ডিজার্টের ব্যবস্থা থাকবে। মানে প্রিয় গায়ককে কাছ থেকে দেখার পাশাপাশি বেশ রাজকীয় আয়োজন থাকবে দর্শকদের জন্য।
প্রসঙ্গত ভিতরে বিলাসবহুল আসন গুলোর টিকিটে রয়েছে বেশ কিছু দামের পার্থক্য। প্রথম আসন যেখানে বসতে হলে টিকিটের দাম হচ্ছে ১৬ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় ,তৃতীয় এবং চতুর্থ আসনের জন্য দাম ১৪ লক্ষ টাকা এবং পরের আসনগুলোতে ১০ লক্ষ টাকারও ব্যবস্থা রয়েছে।
কিছুদিন আগে ভারতের জনপ্রিয় গায়কের অন্য আরেক রূপ দেখতে পেয়েছে দেশবাসী। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের নিজের স্কুল রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরের পরিচালন সমিতির সভাপতি হয়েছেন অরিজিৎ। সঙ্গে প্রাক্তন ছাত্রকে এই ভূমিকায় পেয়ে স্বভাবতই ভীষণ খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ।