বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ‘ধর্মেন্দ্র’কে (Dharmendra) ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে তুমুল উদ্বেগ ছড়িয়েছিল ভক্তমহলে। প্রায় ৯০ বছর বয়সী এই প্রবীণ তারকাকে হঠাৎ করেই মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল অক্টোবরের শেষের দিকে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হলেও, দ্রুতই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে ধর্মেন্দ্র নাকি গুরুতর অবস্থায় ভেন্টিলেটরে রয়েছেন। এমন খবর শুনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব নিছকই গুজব আর অভিনেতা এখন স্থিতিশীল এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে সেরে উঠছেন। প্রসঙ্গত, ‘শোলে’র বীরু, ‘ধুপ ছায়া’র রোমান্টিক নায়ক, কিংবা ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’-এর শক্তপোক্ত চরিত্র— ধর্মেন্দ্র মানেই এক অনন্য যুগের প্রতিনিধি। তাঁর শেষ দেখা গেছে করণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-তে (২০২৩), যেখানে তাঁর সংবেদনশীল অভিনয় দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল। ছয় দশকের দীর্ঘ অভিনয়জীবনেও তিনি আজও অমলিন।
অনেকেই জানেন না, শোলে খ্যাত এই অভিনেতার প্রথম পর্দা-অভিষেক হয়েছিল ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ ছবির মাধ্যমে। এরপর একে একে ‘আনপঢ’, ‘বন্দিনী’, ‘অনুপমা’ কিংবা ‘আয়া সাওয়ান ঝুম কে’-র মতো ছবিতে অভিনয় করে ক্রমে বলিউডের নায়কদের মধ্যে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হঠাৎই তাঁর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমাতে শুরু করেন ভক্তরা। ১০ নভেম্বর বিকেল হতেই দেখা যায়, স্ত্রী তথা প্রাক্তন অভিনেত্রী হেমা মালিনীও পৌঁছে গেছেন হাসপাতালে স্বামীর খোঁজ নিতে।
তবে, তখনও চিকিৎসকরা জানান, উদ্বেগের কিছু নেই। বয়সজনিত কারণে নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশ হিসেবেই তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসে তাঁর ৯০তম জন্মদিনের আগে এমনভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েই থাকে। কিন্তু এবারে ভেন্টিলেটর নিয়ে গুজব ছড়াতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ভক্তরা। পুত্র সানিও সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি জারি করেন, প্রবীণ অভিনেতা স্থিতিশীল আছেন। তবে, রাত গড়িয়ে সকালেই আসে এক হৃদয়বিদারক খবর— ‘শোলে’র বীরু আর নেই!
আরও পড়ুনঃ “অভিনেত্রীরা রাজনীতিতে এসে গায়ে হওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়!” “রাজনীতি কোনও ফ্যাশন নয়, এটা মানুষের জন্য লড়াই করার জায়গা…বিলাসিতা এখানে টেকে না!”— রাজনীতিতে আসা অভিনেত্রীদের সরাসরি খোঁচা সাংসদ-অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের!
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, অবশেষে না ফেরার দেশে পারি দিলেন প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্র! ‘ইয়ে দোস্তি’…এখানেই! ‘জয়’ আজ একা, কারণ বীরু চলে গিয়েছেন চিরনিদ্রায়! দীর্ঘ অসুস্থতা এবং বয়সের ভারে জীবনের শেষ লড়াইয়ে হার মেনে পরলোক গমন করলেন ‘ড্রিম গার্ল’-এর জীবনসঙ্গী। সারা দেশের অগণিত ভক্তদের চোখে জল এনে দিয়ে গেল তাঁর এই প্রয়াণ। বলিউডের সোনালি যুগের শেষ প্রতীক হিসেবে যাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করতেন, সেই মানুষটি রেখে গেলেন এক অমর উত্তরাধিকার। আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি অভিনেতাকে! ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি আমরা!






