৭০ এর দশকের বলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন ববিতা। একটা সময় তার স্টাইল এবং ফ্যাশনে মুগ্ধ হতো দর্শক। বহু জনপ্রিয় ছবিও উপহার দিয়েছেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে। কিন্তু কেন বলা হয় যে কাপুর পরিবারের জন্যই ববিতা নিজের উজ্জ্বল অভিনয় ক্যারিয়ার ছেড়ে দিয়েছিলেন!
প্রসঙ্গত ১৯৪৭ সালে করাচিতে জন্ম হয় ববিতার। বাবা হরি সিবদাসানী ছিলেন বলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। এবং তার মা ছিলেন একজন ব্রিটিশ খ্রিষ্টান। ১৯৬৬ সালে ‘দুশ লাখ’ সিনেমার মাধ্যমেই তিনি প্রথম অভিনয় জীবনে পা দেন। সেটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল দর্শকের কাছে। তবে তিনি প্রথম অভিনয় শুরু করেছিলেন ছবি ‘রাজ’ থেকে। যেখানে তার বিপরীত অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা রাজেশ খান্না।
পরে বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। যেমন ‘এক শ্রীমান এক শ্রীমতি’, ‘হাসিনা মান জায়েগি’। এই দুটি ছবি তিনি তার হবু খুড় শশুর শশী কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। এরপরে ‘ফরয’, ‘এক হাসিনা দো দিবানে’, ‘ডলি’, ‘তুমসে আচ্ছা কোন হে’ প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে।
কিন্তু তারপরে কাপুর পরিবারের বড় ছেলে রণধীর কাপুরকে বিয়ে করে অভিনয় জীবন থেকে সরে যান। সেইসময়ের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে বেরিয়েছিল যে প্রথমে রণধীরের সঙ্গে তার সম্পর্ক মেনে নেয়া হয়নি কাপুর পরিবারের তরফ থেকে। তারপরে তাকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল সেই শর্ত মেনেই তিনি পরবর্তীতে আর কখনো ছবির জগতে ফিরে আসেননি।
পরবর্তীতে তার এবং রণধীর কাপুরের দুই সন্তান হয়। ১৯৭৪ সালে তাদের বড় মেয়ে বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের জন্ম হয়। এবং পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে তাদের ছোট মেয়ে কারিনা কাপুরের জন্ম হয়।
শোনা যায় রণধীর কাপুরের সঙ্গে তার বনি বনা না হওয়ার কারণে দুজনে আলাদা ছিলেন বেশ কয়েক বছর। নিজের দুই মেয়েকে একা হাতেই মানুষ করেছিলেন ববিতা। সেই সময় নাকি তিনি কাপুর পরিবারের থেকে একটা টাকাও নেন নি এমনই শোনা যায়। তবে পরবর্তীতে দুই মেয়ের জন্য আবার তারা কাছাকাছি আসে এবং বর্তমানে মেয়ে জামাই নাতি-নাতনিদের নিয়ে সুখেই সংসার করছেন ববিতা।
তবে বলিউডে যে হাতে গোনা কটা ছবি তিনি করেছিলেন তার অভিনয় গুণ এবং সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিল গোটা দেশ। আজও বলিউড প্রেমীরা তাকে ভুলতে পারেনি একজন অভিনেত্রী হিসাবে।