বলিউডের কপূর পরিবার একটা ঐতিহ্য। আর ঐতিহ্য মানি রয়েছে তার বহু কাহিনী। কিছু কাহিনী জানা আবার কিছু অজানাও রয়ে গেছে। আর তাই বি টাউনে এই পরিবারকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই।
এবার এই পরিবারের এক কন্যা এবং বিখ্যাত নায়িকা করিশ্মা কপূর মুম্বাইয়ের এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে এমন এক অভিজ্ঞতার কথা জানা যায় যা পড়লে গা শিউরে উঠবে। আর এই অভিজ্ঞতার পরেই করিশ্মা ঠিক করে নিয়েছিলেন যে তিনি ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনকে শেষ করবেন বিবাহ বিচ্ছেদের মাধ্যমে। করিশ্মা জানান যে তাঁর বিয়ের পরের দিন থেকেই নাকি তাঁর স্বামী সঞ্জয় কপূর এফং শ্বশুরবাড়ির বাকি সদস্যরা তাঁর উপর অত্যাচার চালাতে শুরু করে। তবে সেই অত্যাচারের এটা সবে শুরু। এরপর বহু প্রত্যাশিত হানি’মুনে গিয়ে নায়িকাকে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামী তাঁকেই তাঁর এক বন্ধুর শয্যাস’ঙ্গিনী হওয়ার প্রস্তাব দেন। শুধু তাই নয়, শয্যাস’ঙ্গিনী হওয়ার জন্য বন্ধুর কাছে নিজের স্ত্রীর মূল্য নির্ধারণও করে দেন সঞ্জয়। কিন্তু নায়িকা এই প্রস্তাবে একেবারেই না বলে দেওয়ায় তাঁর উপর শারী’রিক অত্যাচার করেন স্বামী।
এর পাশাপাশি নায়িকাকে না জানিয়েই সঞ্জয় তাঁর আগের পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন। এমনকি নিয়মিত শারী’রিক ‘সম্পর্ক ছিল তাঁদের মধ্যে। আর এটা জানতে পেরে এর বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই করিশ্মার উপরে আবার অত্যাচার শুরু হয়। এর পরেই আর পেরে না উঠে শেষমেষ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন নায়িকা। আর স্বামী হিসেবে সঞ্জয় কেমন ছিলেন সেটা শুধু করিশ্মা নয় করিশ্মার বাবা রণধীর কপূরও বলেছেন এক সাক্ষাৎকারে। তিনি তাঁর জামাইকে অত্যন্ত নিম্ন শ্রেণীর মানুষ হিসেবে পরিচয় দেন।