‘গরম লাগছে,লাইট বন্ধ করো’, কেকে’র কাতর অনুরোধ শোনেনি ম্যানেজমেন্ট! এসি করা হয়েছিল বন্ধ, কলকাতায় ডেকে এনে দমবন্ধ করে মেরে ফেলা হলো কেকে’কে! ভয়ঙ্কর অভিযোগ নেটিজেনদের
‘হাম রহে ইয়া না রহে কাল,ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল’, গতকাল নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানের শেষে এই গানটাই গেয়েছিলেন কেকে। কে জানত আর কিছুক্ষণ পরেই এই গানটা এত বড় সত্য হয়ে যাবে! হোটেলে ফিরেই অসুস্থ বোধ করেন, হৃদরোগে নিমেষেই মৃত্যু। ৫৩ বছর বয়সে সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন কেকে।
2000 সালে যাদের বেড়ে ওঠা তারা জানেন তাদের কাছে কেকে কী। বন্ধুদের জন্য গাওয়া গান ইয়ারো দোস্তি থেকে প্রত্যেকটা ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানে হাম রহে ইয়া না রেহে কাল চলবেই। মন ভেঙে গেলে তড়প তড়প কে ইস দিল সে নয়তো সাচ কহে রাহা হ্যায় দিওয়ানা। সবমিলিয়ে তার গানের সংখ্যা গোনা যাবেনা।
এদিকে উঠল মারাত্মক অভিযোগ। কাঁদতে কাঁদতে নেটিজেনরা বলছেন কলকাতায় ডেকে নিয়ে এনে মেরে ফেলা হলো কেকে’কে।গতকাল নজরুল মঞ্চের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান ছিল ,গুরুদাস কলেজের ফেস্ট ছিল সেটা।নজরুল মঞ্চে যতটা লোক ধরে তার পাঁচ গুণ লোক ঢোকানোর হয়েছিল ফলে স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ অডিটোরিয়ামে গরম বাড়তে থাকে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নজরুল মঞ্চের কতৃপক্ষের ঝামেলা হয় এবং নজরুল মঞ্চে এসি কাজ করাও বন্ধ হয়ে যায়। এমনিতেও প্রবল গরমে এবং ভিড়ে এসি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিলে আগে থেকেই। গরমে তার উপর সঙ্গে ছিল চড়া আলো যেটা সরাসরি পড়ছিল কেকে’র ওপর। যারা অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তারা বলছেন, ‘কেকে’র খুব কষ্ট হচ্ছিল। তিনি বারবার বলছিলেন, ‘লাইট বন্ধ করো ইয়ার, পিছওয়াড়া জ্বল রাহা হ্যায়’। কিন্তু তার কথা কেউ কানেই নেইনি।
তাকে বারবার ঘাম মুছতে দেখা যাচ্ছিল। বারংবার জলের বোতল নিঃশেষ করছিলেন তিনি। ঘামে জামা ভিজে গিয়েছিলো। এর পরেও তিনি অনুষ্ঠান শেষ করেন এবং হোটেলে ফিরতেই সব শেষ। মৃত্যুর পরেও উঠছে প্রশ্ন। কলকাতার ওবেরয় গ্র্যান্ড থেকে সিএমআরআইতে নিয়ে যাওয়ার কোন যুক্তি ছিল কি? উত্তর মিলছে না। কেন লাইট বন্ধ করা হলো না? অতিরিক্ত লোককে বার করে দেওয়া হলো না?এসি চালু করা হলো না? উদ্ধত্যপূর্ণ কর্তৃপক্ষের বিরোধের ভুলের মাশুল গুনছে সাধারণ মানুষ।