অবশেষে বাংলা ছেড়ে মুম্বইয়ের পথ ধরেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী ‘নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়’ (Nondinii Chatterjee) । বাংলা টেলিভিশনে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে, বহু চরিত্রে দর্শকদের মন জয় করলেও, এবার তিনি নিজের অভিনয় দক্ষতার বিচার চাইলেন বলিউডে (Bollywood)। সম্প্রতি গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি, জিমে ব্যায়াম করতে গিয়ে তাঁর দুহাতের কব্জিতে আঘাত লাগে। চিকিৎসা, অস্ত্রোপচারের পরেও দমে যাননি অভিনেত্রী। সুস্থ হতেই সাহানা দত্তের প্রযোজনায় কালার্সে (Colors TV) হিন্দি ধারাবাহিক ‘নয়নতারা’য় (Nayantara) কাজ শুরু করেছেন তিনি।
তবে নতুন ইনিংসের শুরুর উচ্ছ্বাসের থেকে বেশি রয়েছে অভিমানের দীর্ঘ ছায়া। নিজের কণ্ঠে হতাশার সুরেই জানালেন, বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি বহু বছর কাজ করলেও তেমনভাবে মর্যাদা পাননি। ছোটপর্দায় একধরনের চরিত্রে আটকে গিয়েছিলেন, বড়পর্দায় সুযোগ পাওয়ার আশাতেও হতাশ হয়েছেন। তাঁর কথায়, “গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না”,বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যেন অনেকটা সেই রকমই। এখন তিনি চান নতুন পরিচয়ে, নতুন ভাষায়, অভিনয়ের জোরে নিজের জায়গা তৈরি করতে।
‘নয়নতারা’ ধারাবাহিকে নন্দিনীর চরিত্রের নাম ‘আশালতা’। এই চরিত্রটিও ধূসর, গভীর এবং অনেক স্তর নিয়ে তৈরি। এক নির্যাতিতা নারীর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বলবে এই চরিত্র। এমন চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে নন্দিনী নিজেকে আবার নতুন করে খুঁজে পাচ্ছেন বলে জানালেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, এই প্রথম তিনি সরাসরি বলিউডের সেটে কাজ করছেন, যদিও আগেও একাধিক হিন্দি সিরিজে অভিনয় করেছেন, তবে সেগুলি সবই ছিল কলকাতাকেন্দ্রিক। এবার একেবারে মুম্বইয়ে, একা হাতে স্বপ্নের লড়াই শুরু।
নতুন জগতে এসে তাঁর অভিজ্ঞতা সহজ ছিল না। অডিশনে নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি বুঝেছেন, এত বছর বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেও মুম্বই তাঁকে চেনে না। সেই মুহূর্তে নিজের দুর্বলতায় আবেগে ভেসে গিয়েছিলেন নন্দিনী। একটি অডিশনের পর তাঁকে নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে বলা হয়। তিনি বলেন, “বাংলায় এত দিন অভিনয় করেও কেউ চেনে না, আজও তাই স্ট্রাগলার!” সেই অভিজ্ঞতা এখনও তাঁকে নাড়িয়ে দেয়। তবে একজন কাস্টিং ডিরেক্টর তাঁর নম্বর নিয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ “সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আসা আর তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া, দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে” “তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে যেতে চাইলে, বাধা দেব না”— অতীত প্রেম আর সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি নিয়ে সৃজলার নিঃসংকোচ বক্তব্য!
এই ঘটনাই তাঁকে নতুন করে আশা দিয়েছে। তবে একাধিক অভিমান এখনও তাঁর সঙ্গে আছে। একবার গোয়ায় বেড়াতে গিয়ে বিকিনিতে ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাগ ভাগ করেছিলেন। সেই ছবি ঘিরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এর জেরে কিছু ভালো কাজ হাতছাড়া হয় তাঁর। সেই স্মৃতি টেনে নন্দিনী জানান, “সাহসের মূল্য আজও চোকাচ্ছি। বাংলা আমার সাহসিকতার মর্যাদা দেয়নি।” তাই এই মুহূর্তে তাঁর জেদ, নতুন জায়গা তৈরি করেই তবে ফেরা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।