একটা সিনেমা। সেটাকে নিয়ে বিতর্কের জল এত দূর গড়াতে পারে ভাবতে পারেনি কেউ। কারণ এর আগেও সিনেমা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দলের মানুষ নিজেদের মতামত রেখেছে তবে সেই বিতর্ক এক জীবিত মানুষকে শেষ করে দেয়নি। কিন্তু শাহরুখ খানকে ঘিরে ঠিক তেমনই কলরব শুরু হল।
এর আগেই পাঠান সিনেমাকে অ’শ্লী’ল বলে তকমা দিয়ে দিয়েছে দেশের একাংশের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। সেই বিতর্কের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে অযোধ্যায়। এর আগে এক সাধু, শাহরুখ খানকে জ্যান্ত পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। এবার তিনি করলেন শাহরুখের পারলৌকিক ক্রিয়া অর্থাৎ শ্রাদ্ধ। নেতৃত্বে সেই পরমহংস আচার্য।
শুধু শ্রাদ্ধ করেননি বরং তারপর তিনি জানিয়েছেন জিহাদ শেষ করলেন। পরমহংস দাস একটা ঘড়া নিয়ে তার গায়ে শাহরুখের পোস্টার দিয়ে মন্ত্র পড়লেন। এর সঙ্গে ছিলেন আরো কিছু সাধু। ঘড়া মাটিতে রেখে মন্ত্র উচ্চারণ করলেন সবাই। এর আগে ওই শহরেই শাহরুখ খান এবং দীপিকার পোস্টার পোড়ানো হয়েছে।
ছবির প্রথম গান প্রকাশ্যে আসার পর থেকে বিতর্ক শুরু হয়েছে। দীপিকাকে গেরুয়া রঙের ছোট পোশাকে দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা। অ’শ্লী’ল বলে তকমা দিয়ে দেওয়ার পরেও শান্ত হননি তারা। অবশেষে শ্রাদ্ধ করলেন জীবিত কিং খানের উদ্দেশ্যে। সেই খবর আদৌ শাহরুখ অবধি পৌঁছেছে কিনা জানা যায়নি।