মেয়ের কেরিয়ার আজ মধ্য গগনে। শুরুতেই সুপারহিট জাহ্নবী কাপুর। অভিনয়ের পরিবার। তাই রক্তে মিশে রয়েছে অভিনয়। আর হবে নাই বা কেন মা যেখানে রূপ কী রানী শ্রীদেবী মেয়ে তাতে কম যায় এমনটা কি হতে পারে?
তবু মায়ের মন তো সহজে যে মানে না। তাই পই পই করে মেয়েকে মানা করেছিলেন অভিনয় জগতে আসতে। পদে পদে প্যাচ সেটা যে পদে পদে বুঝেছিলেন শ্রীদেবী। তাই সাবধান করেছিলেন মেয়েকে। দুশ্চিন্তা ঘিরে রাখত শ্রীদেবীকে।
তবে মেয়ের সাফল্য দেখে যেতে পারলেন না। তার আগেই মেয়ের জন্য দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে চিরতরে বিদায় নিতে হলো পৃথিবী থেকে। মায়ের গলা শেষ সাবধান বাণীগুলি কী ছিল? ফাঁস করলেন ধড়ক নায়িকা জাহ্নবী কাপুর।
জাহ্নবী বলেন মা সাবধান করে বলেছিলেন যে ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকলে কপালে অনেক দুঃখ রয়েছে। নরম নয়, কঠোর হতে হবে জাহ্নবীকে। বলিউডের জীবন নির্মম। ঘাত প্রতিঘাত লেগেই রয়েছে। আসলে মায়ের মন তো সর্বদাই খুঁতখুত করে আর নেতিবাচক চিন্তা করে সন্তানের জন্যে। তাই শ্রীদেবী হয়তো ভেবেছিলেন এই ধকল নিতে পারবেন না জাহ্নবী। তবে শ্রীদেবী বলেছিলেন কঠোর হতে গেলে এই নরম মনোভাবাপন্ন মানুষটিকে ত্যাগ করতে হবে। এটা শ্রীদেবী চাননি। তাছাড়া লোকে মায়ের ৩০০ টা ছবির সঙ্গে মেয়ের একটা ছবি তুলনা করবে। সেটা কি নিতে পারবে ছোট্ট মেয়ে?
মায়ের এত সাবধান করে দেওয়ার পরেও কথা শোনেনি বড় মেয়ে। জাহ্নবী মাকে আশ্বস্ত করে দিয়ে বলেছিলেন ঠিক পারবেন তিনি। কাজটি কঠিন হবে সেটা আগে থেকেই জানতেন জাহ্নবী। তবে অভিনয় না এলে যে, মন ভেঙে যাবে তাঁর নিজের। আদৌ কি পারলেন নাকি ব্যর্থ বলেন সেটা মা দেখে যেতে না পারার আফসোস চিরজীবনের মতো রয়ে গেল কাপুর পরিবারের এই নন্দিনীর বুকে।
২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অকাল মৃত্যু হলো শ্রীদেবীর। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কিন্তু ফিরে এল তাঁর নিথর দেহ। এমনটা মেনে নিতে পারিনি কেউই। তবে মাকে অবলম্বন করেই বেঁচে রয়েছেন জাহ্নবী।