বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দর্শক শুধুমাত্র অভিনেতা সোনু সুদকে শুধুই তার চলচ্চিত্রের জন্য চেনেন না বরং তার মানবিকতার জন্য তিনি বেশ জনপ্রিয়।সম্প্রতি এমনই এক পরিস্থিতি সামনে এসেছে, যা প্রমাণ করে যে ব্যক্তিগত জটিলতার মাঝেও সে মানুষের পাশে দাঁড়াতে কখনও ভয় পায় না।
গত বুধবার অভিনেতা সোনু সুদকে ইড’র দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছিল। তাকে সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল বেটিং অ্যাপ কাণ্ডের তদন্তে। দিল্লির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দফতরে সকাল ১২টা নাগাদ হাজিরা দিয়ে তিনি তার টিমের সঙ্গে দীর্ঘ সময় প্রশ্নের মুখোমুখি হন। এই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ সাধারণত কারও জন্যই চাপের হতে পারে, কিন্তু সোনুর জন্য তা তার সমাজসেবা বা মানবিক কাজে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
জেরার পরেই তিনি আবার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজে ব্যস্ত হন। পাঞ্জাবে এক আট বছরের শিশুর পরিবার ছিল তার লক্ষ্য। শিশুটি, নাম অভিজ্যোত, দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিল। তার চিকিৎসার খরচ প্রায় প্রতি দুই মাসে ৪৫ হাজার টাকা। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারটি নিজে থেকে সেই খরচ বহন করতে পারছিল না। পাঞ্জাবের বন্যার সময় সোনু পরিবারটির সঙ্গে পরিচিত হন এবং তখন থেকেই সমস্ত চিকিৎসার দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন।
গত বৃহস্পতিবার, অভিজ্যোতের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই সোনু পরিবারের কাছে পৌঁছে তার শোক প্রকাশ করেন। তিনি শুধু উপস্থিতি দেখিয়েই থামেননি, নিজের এক্স হ্যান্ডে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর এই মানবিকতা ও অঙ্গীকার সবার জন্য অনুপ্রেরণা। সোনুর জন্য কোনো বাধা, কোনো ব্যক্তিগত জটিলতা মানুষকে সাহায্য করার পথে কখনো রোধ হতে পারে না।
আরও পড়ুনঃ “আমি অর্ধেক মরে বেঁচে আছি” – শ্রীলেখা মিত্র প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন নিজের ভুলের জন্য! কী বিরাট ভুল করেছেন টলি অভিনেত্রী?
এই ঘটনা স্পষ্ট করে দেখায় যে সোনু সুদ শুধু সিনেমার পর্দার নায়ক নন, বাস্তব জীবনের মানুষদের প্রয়োজনে ‘মসিহা’র ভূমিকায় দাঁড়ান। সাত ঘণ্টার জেরার পরও তার মানবিকতা, সমবেদনা এবং দায়িত্ববোধ কোনোভাবে ক্ষুণ্ন হয়নি। অভিজ্যোতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের শোক ভাগ করার এই গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সত্যিকারের নায়ক হল সেই ব্যক্তি, যে কেবল অভিনয় নয়, বাস্তব জীবনেও মানুষের পাশে থাকে।