3 Idiots Milimeter: থ্রি ইডিয়টসের মিলিমিটারকে মনে আছে?টাকার অভাবে পড়াশোনা ছেড়ে দেবেন ভেবেছিলেন, এখন কী করছেন তিনি? জানলে অবাক হবেন

এমন কালজয়ী সিনেমা বলিউড শুধু নয় ভারতের সিনেমার ইতিহাসে বিরল। ওই বিখ্যাত ‘মিলিমিটার’কে মনে আছে? র‌্যাঞ্চো, রাজু এবং ফারহান ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চত্বরে পা দিতেই ছাত্রদের ফাইফরমাশ খাটতে দেখা গেছে এই চরিত্রকে। সেই হস্টেলের আদব কায়দার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল সিনেমার ওই তিনমূর্তিকে।

Aamir Khan's '3 idiots' is the last film played at a theatre in Japan  before shutting down | Bollywood News
সেই কিশোর এখন আর মিলিমিটার নেই। সে একজন ২৭ বছরের প্রাপ্তবয়স্ক। ‘মিলিমিটার’-এর চরিত্রে অভিনয় করেই প্রবল জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছিলেন রাহুল শর্মা। এখন তিনি বেশি পরিচিত রাহুল কুমার নামে।

3idits
ওই সিনেমায় তাঁর অভিনয় দর্শকদের এতটাই মুগ্ধ করেছিল যে, একের পর এক সিনেমা-ধারাবাহিকে কাজ করতে থাকেন উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের ছেলে রাহুল। মাত্র তিন বছর বয়সে অভিনয়ে হাতেখড়ি এই অভিনেতার। থিয়েটারে কাজ শুরু করেন প্রথম।পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ যখন রাস্কিন বন্ডের লেখা গল্পানুসারে ‘দ্য ব্লু আমব্রেলা’ সিনেমা বানাচ্ছিলেন, তখন ‘টিক্কু’ নামক শিশুশিল্পীর খোঁজ চলছিল। অডিশন দিতে রাহুল মুম্বই গেলে তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করে কাস্টিং ডিরেক্টরকে।

তবে ‘দ্য ব্লু আমব্রেলা’ রাহুলের প্রথম সিনেমা ছিল না। ১৯৯৯ সালে কম বাজেটের হিন্দি সিনেমা ‘চন্ডাল আত্মা’-তে শিশু অভিনেতা হিসেবে কাজ করেন তিনি।
‘ওমকারা’ সিনেমায় অভিনয়ের ল’ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান রাহুল। ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে তার মাধ্যমেই। তবে একটা সময়ে আর্থিক সচ্ছলতা ছিল না পরিবারের। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন বাধ্য হয়েই। টাকা উপার্জন করার জন্য শুধু মাত্র অভিনয় করবেন বলে ঠিক করেন। এই খবর ‘থ্রি ইডিয়টস্‌’-এর প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়ার কানে গেলে তিনি রাহুলকে পড়াশোনার গুরুত্ব বোঝান। রাহুলের পড়াশোনার খরচের ভারও নেন বিধু। এর পর পড়াশোনার প্রতি আলাদা আকর্ষণ তৈরি হয় অভিনেতার মধ্যে।

পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ যখন রাস্কিন বন্ডের লেখা গল্পানুসারে ‘দ্য ব্লু আমব্রেলা’ সিনেমা বানাচ্ছিলেন, তখন ‘টিক্কু’ নামক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য এক জন শিশুশিল্পীর খোঁজ চলছিল।
রাহুল ২০১২ সালে ‘জিনা হ্যায় তো ঠোক ডালে’ নামে এক বলিউড সিনেমায় ‘বিটওয়া’র চরিত্রে অভিনয় করেন। এই সিনেমা বক্স-অফিসে মুখ থুবড়ে পড়লেও ‘মেক্সিকো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’ বিদেশি ভাষায় সেরা সিনেমা হিসেবে বিশেষ সম্মান অর্জন করে এই সিনেমা। প্রায় এক দশক ধরে রাহুল এবং তাঁর দাদা শিশুদের পড়াশোনার জন্য কাজ করা এক অসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন।