এই মুহূর্তে বেশ ভাল রকম অবস্থায় রয়েছে হিন্দি সিনেমা। করোনা পরবর্তী ধাক্কা সামলে নিয়ে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছে বলিউড। প্রচুর হিন্দি সিনেমা ব্লকবাস্টার হিট। আর এই হিটের বাজারে বেশ কিছু সিনেমার গল্প দর্শকদের চোখে জল এনে দিচ্ছে। আর যার মধ্যে অন্যতম হলো টুয়েলভ ফেল। এখন প্রায় প্রত্যেকের মুখেই এই সিনেমার নাম।
অনেকেই দেখে ফেলেছেন এই সিনেমা আবার অনেকের দেখা হয়নি। বিক্রান্ত মাসে আর মেধা শঙ্কর অভিনীত এই ছবি এখন দর্শকদের ওয়াচ লিস্টের প্রথমেই। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েও একজন মানুষ কিভাবে আইপিএস অফিসার হয়েছিলেন সেই গল্পই এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠেছে।
তবে কি জানেন এটা শুধুমাত্র একটা সিনেমা নয়, একেবারে বাস্তব থেকে উঠে আসা এক কাহিনী। এই সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে, আইপিএস অফিসার মনোজ কুমার শর্মাকে ঘিরে। ১৯৭৭ সালে মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার বিলগাঁও নামক এক ছোট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মনোজকুমার শর্মার। অত্যন্ত আর্থিক সংকটের মধ্যে বড় হয়েছেন তিনি।
না ছোট থেকে পড়াশোনায় একেবারেই ভালো ছিলেন না তিনি। এই মানুষটি নবম ও দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করেছিলেন তৃতীয় বিভাগে। এরপর দ্বাদশ শ্রেণীতে ফেল করেন। হিন্দি সাহিত্য ছাড়া, বাকি সমস্ত বিষয়েই ফেল করেছিলেন তিনি। কিন্তু না, হেরে যাননি তিনি। কিছু করে দেখানোর জেদকে সম্বল করে কঠিন অধ্যাবসায়ের মধ্যে নিয়ে আজ তিনি ব্যাপকভাবে সফল।
একটা সময় রাজধানীতে টেম্পো চালিয়েছেন। গ্রন্থাগারে কাজ করেছেন। এমনকি ধনী ব্যক্তিদের পোষা কুকুরকে হাঁটিয়েও উপার্জন করেছেন। কিন্তু জীবন যুদ্ধে হার মানেননি তিনি । উপার্জিত টাকায় সমানে করে গেছেন ইউপিএসসির প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন: ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-এ নয়া মোড়! ঐশানী আর মেয়ের মুখ না দেখায় মায়ের উপর অভিমান শংকরের! তবে কী মায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়বে ছেলের?
কঠিন সময় পেরিয়ে অবশেষে মেলে সফলতা। মনোজকুমার শর্মা চতুর্থবারের চেষ্টায় UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ২০০৫ সালে মহারাষ্ট্র ক্যাডারে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি মুম্বইতে পশ্চিম অঞ্চলের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর তারই জীবন যুদ্ধের কাহিনী অবলম্বনে তৈরি হয়েছে, টুয়েলভ ফেল। আর যা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে ভারতের তরুণ প্রজন্ম। বিধুবিনোদ চোপড়ার এই সিনেমায় এখন মজে দেশ। এই নামে একটি উপন্যাস রয়েছে। আর এই সিনেমা সেই উপন্যাস থেকেই অনুপ্রাণিত।