গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল গায়ক কেকের মৃত্যু। বলা যায় অকাল মৃত্যু। কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে বাড়ি ফেরার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
যারা অনুষ্ঠানে সামনাসামনি কেকেকে দেখেছিল তারা নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছে যে এই প্রথম এবং শেষ বার নিজেদের ভালোবাসার গায়ককে দেখতে পেয়েছে তারা সামনে থেকে। আর যারা যেতে পারলো না তারা কপাল চাপড়াচ্ছে।
অন্যদিকে গায়কের মৃত্যুর পর নানা অভিযোগ উঠেছিল। জানা যায় অডিটোরিয়ামের আসন সংখ্যার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি সংখ্যক দর্শক ঢুকে পড়েছিল। এছাড়াও এসি ঠিকমতো কাজ করছিল না যার ফলে ভেতরের পরিবেশ অত্যন্ত গরম হয়ে গেছিলো। বেশ কিছু ভিডিওতে প্রকাশ পেয়েছে গায়ক নিজেও স্টেজে পারফর্ম করতে গিয়ে বারবার ঘাম মুছছেন এবং লাইট বন্ধ করে দিতে অনুরোধ করছিলেন কর্তৃপক্ষকে।
সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হয়ে ওঠে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল গুরুদাস মহাবিদ্যালয়। তাই কলেজ কর্তৃপক্ষকে দুষছে নেট দুনিয়া। পাশাপাশি প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলেছে বিরোধীরাও।
এবার সেই অভিযোগগুলিকে কেন্দ্র করে বড় দাবি উঠল হাইকোর্টে। কেকের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন আইনজীবী রবি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। তিনি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের কাছে। এবার জানা গেল সেই অনুমতি মিলেছে।
গত মঙ্গলবার এই দুঃসংবাদে গোটা কলকাতাবাসীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। অনুষ্ঠানের পর প্রচন্ড অসুস্থ বোধ করছিলেন গায়ক। শেষমেষ জানা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এর জেরে পরিণতি মৃত্যু।