“কেউ মাফিয়া তো কেউ মেগাস্টার, অনেক তকমা দিয়েছে…তারপরও সিনেমা হলে আমি জায়গা পায়নি” পোস্টার ঝুললেও দক্ষিণ কলকাতার একাধিক হলে জায়গা পেল না দেবের ‘প্রজাপতি ২’! কার দিকে আঙুল তুললেন দেব? শুরু নতুন বিতর্ক!

বড়দিন মানেই প্রেক্ষাগৃহে হরেক রকম ছবির ভিড়, দেশ বিদেশের নানান বড় ছবির মুক্তি আর তার সঙ্গেই হলে জায়গা দখলের লড়াই। সেই আবহেই বড়দিনে আসছে ‘প্রজাপতি ২’ (Prajapati 2)। গতকাল ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই ছবি ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু মুক্তির মুখে দাঁড়িয়ে এক প্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখে পড়ল এই ছবি! দক্ষিণ কলকাতার জনপ্রিয় সিঙ্গল স্ক্রিন ‘নবীনা’তে পোস্টার ঝুললেও শো পেলেন না মেগাস্টার দেব (Dev)! এই ঘটনাই নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল, বাংলা সিনেমার বাস্তব সমীকরণ আসলে কতটা জটিল।

এই প্রসঙ্গে দেব নিজেই সমাজ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একই হলে ‘প্রজাপতি ২’এর পোস্টারের উপরেই রয়েছে কোয়েল মল্লিকের ‘মিতিন মাসি’র ছবির পোস্টার। যেটি তিনি ব্লার করে দিয়ে সঙ্গে যে ক্যাপশন লিখেছেন, সেটাই এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। দেব লিখেছেন, “এই বছর আমাকে অনেকে অনেক তকমা দিয়েছে, কেউ মাফিয়া তো কেউ মেগাস্টার। তারপরও সিনেমা হলে আমার সিনেমার পোস্টার লাগার পরও, আমার সিনেমা জায়গা পায়নি। আশা করি সিনেমা হলের মালিকরা খুশি, কারণ তারা যদি বাঁচে বাংলা সিনেমা বাঁচবে।

প্রত্যেকটা বাংলা সিনেমা ভাল চলুক, বাংলা সিনেমার জন্য আমার লড়াই চলবে।” নাম না করেও যে বার্তা তিনি দিয়েছেন, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। এই পোস্টের পেছনে যে পুরনো ক্ষত আছে, তা পুজোর সময়কার বিতর্ক আবার টেনে আনল। এবার দুর্গা পুজোয় একই সময়ে মুক্তি পেয়েছিল ‘রক্তবীজ ২’, ‘রঘু ডাকাত’ সহ আরও দুটি ছবি। তখন অভিযোগ উঠেছিল, দেব নাকি প্রভাব খাটিয়ে বেশি শো পেয়েছেন! সেই সময় তাঁকে ‘মাফিয়া’, ‘মাফিয়া কার্ড খেলে’ তকমা পর্যন্ত দেওয়া হয়। অথচ কয়েক মাস না যেতেই চিত্রটা উল্টো!

এবার তাঁর ছবিই কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কিছু হলে জায়গা পেল না! সময় যে কত দ্রুত সব হিসেব বদলে দেয়, এই ঘটনাই তার উদাহরণ। প্রসঙ্গত, এই বছর বড়দিনে প্রতিযোগিতা যে সহজ নয়, তা স্বীকার করতেই হয়। একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘মতিন মাসি একটি খুনির সন্ধানে’, যেখানে কোয়েল আবার মিতিন মাসি। পাশাপাশি রয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’। সেই ভিড়ের মাঝেই ‘প্রজাপতি ২’ নিজের জায়গা খুঁজছে। অভিজিৎ সেন পরিচালিত এই ছবিতে দেবের সঙ্গে রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী, ইধিকা পাল সহ একাধিক পরিচিত মুখ।

আরও পড়ুনঃ ‘মহাপ্রভু নিজেই চেয়েছেন, আমার কণ্ঠেই আবার ছড়িয়ে পড়ুক তাঁর বাণী…আমার মধ্যে দিয়েই আসুক শান্তির বার্তা’, ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’র মিউজিক লঞ্চে চোখের জলে, বিশ্বাস আর কৃতজ্ঞতায় ভাসলেন ‘নটী বিনোদিনী’ শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়!

গল্পের কেন্দ্রে এক সিঙ্গল ফাদারের জীবন, যা আগের ছবির আবেগকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা তাই সিনেমার বাইরেই থেকে যায়। নন্দন বা নবীনার মতো কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে কেন ছবিটি নেই? তা নিয়ে স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। কোথাও সমস্যা মিটে শো শুরু হয়েছে, কোথাও নীরবতা। অথচ দেবের মতো অভিনেতা-প্রযোজক, যিনি বারবার বাংলা সিনেমার কথা বলেন তাঁর ছবিই যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়ে, তাহলে বাকিদের অবস্থাটা কী?

You cannot copy content of this page