লালকুঠি ধারাবাহিকটি শুরুর প্রথম থেকেই উদ্যোক্তাদের অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল। তার কারণ প্রথমত বাংলা টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় দুই তারকা রাহুল এবং রুকমা এই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় এবং অপরদিকে সাংসারিক কুটকেচালী ছেড়ে ভৌতিক এবং রোমাঞ্চকর গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিক। যেমন আসা করা হয়েছিল তা পূরণ করতে পারিনি ধারাবাহিকটি। প্রথম থেকেই প্রায় টিআরপি তালিকার প্রথম দশে থাকার জন্য বেশ কষ্টই করতে হয়েছে এটিকে।
তাই এবার একঘেয়ে গল্প থেকে কিছুটা অন্যরকম হতে চলেছে ধারাবাহিকটির গল্প। ধারাবাহিকে বিক্রমের প্রাক্তন প্রেমিকা, জিনির খোঁজ উঠতেই উঠে আসে একাধিক নাম। প্রথমেই রয়েছে রাহুলের স্ত্রী অনামিকা তারপর মহুয়া, নার্স রূপালির নাম। এই তিনজনকে সন্দেহ করার মত বিক্রমের কাছে একাধিক কারণ রয়েছে।
প্রথমত জিনির সাথে তিনজনেরই স্বভাবের অনেক মিল। এছাড়া তিনজনেরই পূর্বের পরিচয় পরিষ্কার নয় এবং প্রত্যেকেরই লালকুঠি সাথে একটি গভীর সংযোগ রয়েছে। তবে তিনজনের থেকে সবচেয়ে বেশি সন্দেহ রয়েছে অনামিকার ওপর। অনামিকা আচরণ অনেকটাই সন্দেহজনক।
আজ জিনি কে সেটা জানার জন্য বিক্রম একটি হোটেলের ঘরে এসেছে। সে চায় আজ তার পুরনো প্রেমিকাকে দেখতে। প্রায় ১২ বছর পরই জিনির সাথে তার দেখা হবে। কিন্তু উল্টো দিকে যিনি এলে তার স্বামীর উপর অধিকার হারাবে এই ভেবে দুশ্চিন্তায় বাড়ি ছাড়া হয় অনামিকা। অন্যদিকে নার্স এবং মহুয়া তাদের কিছু কারণবশত বাইরে যায়।
আজ জিনি প্রকাশ্যে আসবেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত বিক্রম। বিক্রম মনে মনে চায় যেন যিনি অনামিকাই হয়, কারণ অনামিকার সাথে তার একটি আলাদা টান অনুভূত হয়। যেটা অন্য দুজনের সাথে হয় না।
এমন সময় হঠাৎ কালো হুডি পরা একজন নারী হোটেলের রুমে আসে। সে পিছন ঘুরতেই বিক্রম দেখে সেটি অনামিকা। তারপরে বিক্রম জোরে বলে ওঠে যে আমি জানতাম তুমি আসবে তারপরে অনামিকাকে সে বুকে জড়িয়ে ধরে।তারপরই স্বপ্ন ভেঙে যায় তার।কারণ এই পুরোটাই ছিল তার স্বপ্ন। বিক্রমের সাথে সাথে দর্শক মনঃক্ষুন্ন হয়।
তারপরে বিক্রম উঠে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ায় কিছুক্ষণ ব্যালকনিতে দাঁড়ানোর পরে হঠাৎ একটি ছায়ামূর্তির সামনাসামনি হয় বিক্রম। তারপরে তার কাঁধে হাত দিয়ে ডাকতেই ছায়ামূর্তিটি উল্টো দিকে ফিরতেই বিক্রম বলে ওঠে ‘তুমি’! এই উত্তেজনার মাঝে শেষ হয়ে যায় ধারাবাহিকটি।
এখন শুধু দেখার ধারাবাহিক থেকে নতুন কি মোড় আসতে চলেছে। এবং জিনিই বা কে হতে চলেছে?