গতকাল রাত থেকে গোটা ভারতের সঙ্গীতপ্রেমী মানুষদের মন খুব খারাপ। কলকাতায় নজরুল মঞ্চে গান গাইতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বলিউডের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কেকে’র। এই ঘটনাটা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। বিশেষ করে কলকাতাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ আরো দুটো কারণে জমছে।
প্রথমত হলো জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর পরশুদিনের দায়িত্বজ্ঞানহীন লাইভ। যেখানে কেকে’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি।যদিও মূলত তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে অন্যান্য ভাষার গান নিয়ে বাঙালি যেমন উন্মাদনা দেখায় সে রকম বাংলা গান নিয়ে দেখায় না কেন? কিন্তু তিনি যেভাবে পুরো বিষয়টাকে প্রকাশ করেছিলেন তাতে গোটা জিনিসটা আত্মঘাতী গোল হয়ে গেছে। তারপরের দিন চিরঘুমের দেশে চলে গেছেন কেকে তাও কলকাতার বুকেই। নেটিজেনরা এখন রূপঙ্কর বাগচী কে ছেড়ে কথা বলছেন না।
দ্বিতীয়তঃ হল নজরুল মঞ্চের চূড়ান্ত অব্যবস্থা। সাত হাজার জনকে প্রবেশ করানো হয়েছে, এসি বন্ধ। গরমের চূড়ান্ত হাঁসফাঁস করছিলেন গায়ক,বারবার বলছিলেন চড়া আলো বন্ধ করার কথা কিন্তু কেউ কান দেয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এটাই। এরপর এই হোটেলে ফিরে অসুস্থ বোধ হওয়া এবং তারপর চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেওয়া হাসপাতালে।
আর এবার সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হলো তার গতকালের গানের লিস্ট। এখানে গান গাইতে শুরু করার আগে কী কী গান গাইবেন তার লিস্ট করেছিলেন তিনি। পর পর কুড়িটা গান গেয়ে তিনি উপহার দিয়েছেন কলকাতাবাসীদের। প্রথমেই ছিল তু আশিকি হে, তারপরে একে একে কেয়া মুঝে প্যার হে, দিল ইবাদাত,মেরে বিনা, লবোঁ কে,তুহি মেরি সব,আঁখো মে তেরি,আভি আভি, মেরা পহেলা পহেলা প্যার, তু যো মিলা,ইয়ারো দোস্তি,খুদা জানে,জারা সি,আশায়েঁ,ডন,তুনে মারি এন্ট্রি,দেশি বয়েজ, ডিস্কো,কোই কহে এবং সব শেষে পল ইয়ে হ্যায় প্যার কে পল।
মোট কুড়িটা গান তিনি গেয়েছিলেন কালকে। হাজার কষ্ট হলেও কিন্তু গান গাওয়া থামাননি।ভেবেছিলেন হোটেলে গিয়ে বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু জীবন থেকে যে চিরবিশ্রাম হয়ে যাবে সেটা বুঝতে পারেননি কেকে।