প্রযোজকের স্ত্রী পালালেন নায়কের সঙ্গে। এদিকে ডাক পড়লো শুটিংয়ের। সেই অশোক কুমারই বলিউডের দাদামনি। আভাস নিশ্চয় পেয়েই গেছেন যে আজ আমরা কী বলবো? হ্যাঁ, আজ আমরা এই জনপ্রিয় তারকার জীবনের কিছু অজানা কথা জানাবো আপনাদের।
তিনি ছোট বড় সবার দাদমনি। তার মতো বহুমুখী প্রতিভা আগে খুব কম দেখেছে সিনেমার দুনিয়া। পর্দায় তিনি আবির্ভূত হওয়া মানেই চোখ আটকে যায় দর্শকদের। তার হাত ধরেই হিন্দি সিনেমার ক্ষেত্রে গ্রামারের সংযুক্তি ঘটেছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিভা খুঁজে বের করে মেলে ধরার সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাই প্রয়োজন তো বটেই, মায়া নগরীর কাছে আজও তিনিই দাদামনি।
যদিও অশোক নামটা আসল নাম নয়। আসল নাম হলো কুমুদলাল গাঙ্গুলী। তিনিই সব থেকে বড়। তারপরেই অনুপ কুমার ও কিশোর কুমার। বয়সে সবার বড় হলেও আয়ু তারই ছিল সবথেকে বেশি। খুব কম বয়সেই চোখের সামনে ভাই-বোনদের চলে যেতে দেখেছেন তিনি। জন্মদিনে ছোট ভাই কিশোরের মৃত্যুর পর জন্মদিন পালন বন্ধ করে দেন দাদামনি।
ছেলেকে আইনজীবী তৈরি করার বাসনা নিয়ে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি করতে পরীক্ষা দিতে পাঠান। ফেল করায় ছেলে চলে যান মুম্বই বোনের কাছে। সেখানে হাতখরচ চালাতে শশোধরের বোম্বে টকিজ ল্যাব সহযোগীর কাজ করতেন। প্রেম জন্মায় সিনেমার প্রতি। বাবা না মানলে শশোধর মধ্যস্থতা করেন।
তারপর একটি দুর্ঘটনা তাকে অভিনয় করতে বাধ্য করে। জীবন নাইয়া ছবির শুটিংয়ের সময় নায়ক নাজামুল হাসান নায়িকা দেবিকা রানীকে নিয়ে পালিয়ে যান। তার স্বামী ছিলেন মালিক। পরে তিনি ফিরে এলেও নাজামুলকে আর নায়ক করতে চাইলেন না মালিক। তখন কুমুদলাল থেকে অশোক কুমার হয়ে বড় পর্দায় আবির্ভূত হলেন দাদামনি।