অবশেষে অর্জুনের সঙ্গে সম্পর্কে দীপা! আইনি লড়াইয়ে দীপার জন্য গল্পে প্রবেশ করল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা! সূর্য কাজে লাগাবে দীপার দুর্বলতাকে।
অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) সিরিয়ালের গল্প এখন অন্য খাতে বইছে। এবার সোনা রুপা চলে এসেছে সূর্য দীপার মাঝখানে। এবং দুজনের উপর অধিকারের লড়াই নিয়ে আইনি পথে এগিয়েছে তারা। সূর্যকে এর জন্য উস্কে দিয়েছে মিশকা। এখন দেখার অবশেষে এই লড়াইয়ে জয় কার হয়।
সূর্য তার দুই মেয়ের জন্মদিনের কথা ভুলে যায়। অনুষ্ঠানে সোনা রুপার জন্য এক সারপ্রাইজ জন্মদিনের পার্টির আয়োজন করে। সে ঠিকানা জোগাড় করে সূর্য সেখানে পৌঁছে যায় এবং দিবার মুখোমুখি হয়ে সোনা রুপাকে তার কাছে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করে। দীপা এতে রাজি হয় না। অবশেষে উর্মি অর্জুনকে সব কথা বলতে যায় এবং সাহায্য চায়। অর্জুন জানিয়ে দেয় যে দীপা স্বাবলম্বী মেয়ে এবং আত্মবিশ্বাসী তাই অন্যের সাহায্য সে হয়তো নেবে না। তবে পরোক্ষভাবে অর্জুন তাদের সাথে আছে এটা স্পষ্ট বলে দেয় উর্মিকে।
আজকের পর্বে দেখা যায় যে মিশকার মামা দীপা এবং অর্জুনকে একসঙ্গে দেখে ফেলে গাড়িতে উঠতে। এরপর সে সেনগুপ্ত বাড়িতে গিয়ে এটাকেই অস্ত্র করে দীপার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে সূর্য, লাবণ্য সকলের সামনে। সূর্য রেগে গিয়ে হাত তোলে তার উপর আর তার স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে কথা বলতে মানা করে। অন্যদিকে লাবণ্য তাকে থামাতে যায়।
এদিকে দেখা যায় উর্মি আর দীপাকে নিয়ে অর্জুন নিজের বাড়িতে এসেছে একটা বিশেষ কারণে। সে তার ল্যাপটপ খুলে দীপাকে এটা বোঝায় যে স্পার্ম শরীরে প্রবেশ করিয়ে মা হলে সেই বাচ্চার দায়িত্ব স্পার্ম ডোনারকে নিতে হবে এমন কোনও আইন এই দেশে নেই। তাই এর জন্য সূর্যকেও বাধ্য করতে পারবে না কেউ। এতে উর্মি বলে এই লড়াইটা তাহলে বেশ সহজ হয়ে যাবে। তবে দীপা তাদের দুজনকে জানিয়ে দেয় যে তার আসল লড়াই হলো সোনা এবং রুপার অধিকার নিয়ে। এর জন্য এই সংসার পরিবার সমাজ সবকিছু ছেড়ে যেতে পারে সে।
এরপর গল্পে প্রবেশ করে এক নতুন চরিত্র। উকিলের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা। আর সেই উকিল দীপাকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয় যে তার বেসিক মাসিক রোজগার নেই তাই এটাই তার কেসের সব থেকে বড় দুর্বলতা। দীপাকে এই কম সময়ের মধ্যে যেভাবেই হোক একটা চাকরি জোগাড় করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা দেখাতে হবে কোর্টের সামনে। তবেই সে হিসাব দেখাতে পারবে যে সে নিজের বাচ্চাদের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। দীপা বলে সে যত টাকাই হোক এই কেস লড়বে কিন্তু সে চিন্তায় পড়ে যায় যে এই কম সময়ের মধ্যে চাকরি কোথা থেকে পাবে। অন্যদিকে সূর্য দিবার এই দুর্বলতা জানে তাই সে নিজের উকিল এর কাছে এটা প্রস্তুত করে যে দীপার এখন কোনও রোজগার নেই তবে আগে সে একটা নার্সারি চালাতো। পাশাপাশি দীপা তার উকিলকে এটাও অনুরোধ করা যায় কোর্টে যেন কোনওভাবে তার স্ত্রীর অপমান না করা হয়।