“কার্নিভালে গেছেন ইনকাম এমনই হয়ে যাবে, ব্যাগ বেচতে হবে না!” “চটি চাটা ছাড়া আর কিছু জানেন না, এবার কি ভোটেও দাঁড়াতে চান নাকি?”— ব্যাগ বিতর্কের পর, পুজো কার্নিভালে মধুবনী-রাজার উপস্থিতি ঘিরে বিতর্ক ফের চরমে! তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ নেটিজেনদের!

সমাজ মাধ্যমে যেসব কাণ্ড ঘটান অভিনেত্রী ‘মধুবনী গোস্বামী’ (Madhubani Goswami), তা নিছক ট্রেন্ডিং কন্টেন্ট নয়-বরং তা ঘিরে একের পর এক বিতর্কের জন্ম নেয় প্রায়শই। কিছুদিন আগেই প্রেগন্যান্সির ইঙ্গিত দিয়ে ছবির সঙ্গে ক্যাপশনের মাধ্যমে যেন এক আবেগঘন বার্তা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। পাশে স্বামী রাজা গোস্বামীর (Raja Goswami) হাসিমুখ, সব মিলিয়ে সবাই ভেবেই নিয়েছিলেন আবারও মা হচ্ছেন মধুবনী। শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে উঠেছিল কমেন্ট বক্সে। কিন্তু চমক তখনও বাকি ছিল!

পরদিন জানা গিয়েছিল, এ সবই ছিল এক অভিনব মার্কেটিং প্ল্যান! প্রেগন্যান্সি নয়, তাঁরা শুরু করছেন নতুন ব্যাগের ব্যাবসা ‘রাজা মধুবনী কালেকশনস’। সন্তান জন্মের ইঙ্গিত দিয়ে ওই ছবি, দু’জনে এই ব্যবসা শুরুর উদ্দেশ্যেই ছিল। অনেকেই সেই সময় বলেছিলেন, ব্যবসার প্রচারের সঙ্গে মাতৃত্ব জুড়ে দেওয়াটা খুবই অসম্মানজনক। এছাড়াও অনেকে বলেছিলেন, সামান্য ব্যাগ বেচতে এত নিচে না নামলেও চলত। তবে বিতর্ক থেমে থাকেনি ব্যাগের ‘ব্র্যান্ডিং’ নিয়েও।

সস্তা ব্যাগকে ‘ব্র্যান্ডেড’ এবং ‘ক্লাসি’ বলায় নেটিজেনরা একের পর এক ট্রোল করতে থাকেন। কেউ ব্যাগের ডিজাইন দেখে বলেন, “ফুটপাথেও এর চেয়ে ভালো ব্যাগ পাওয়া যায়।” আবার কেউ ব্যাগের ফিনিশিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অতীতের বিতর্ক পুরোপুরি থামার আছেই, এরই মধ্যে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মধুবনী ও রাজা। এবার রাজ্য সরকারের আয়োজিত দুর্গাপুজোর কার্নিভালে তাঁদের উপস্থিতি ঘিরে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঢেউ। রাজনৈতিক যোগাযোগ ছাড়া এই মঞ্চে কাউকে সাধারণত দেখা যায় না।

সেখানে তাঁদের উপস্থিতি ঘিরে প্রশ্ন উঠছেই। সম্প্রতি মধুবনী একটি কালো আর সবুজ রঙের ব্যাগের ছবি দিয়ে কেউ নিতে চাইলে যোগাযোগের জন্য জরুরী তথ্য প্রদান করেন। সমাজ মাধ্যমে এই পোস্ট এখন রীতিমতো অন্যরকম এক বিতর্কে জন্ম দিয়েছে। কেউ লিখছেন, “কার্নিভালে গেলে ইনকাম হয়ে যাবে, ব্যাগ বেচতে আর কষ্ট করতে হবে না।” কেউ আবার একধাপ এগিয়ে বলেন, “সবুজ রং দিদির খুব পছন্দ, খুশি হয়ে না তোমার ব্র্যান্ড ওপেনিং-এ এসেই যান!” সরাসরি কোনও রাজনৈতিক মত না জানালেও, মধুবনীদের এই কার্নিভালে উপস্থিতি অনেকেই ‘সংযোগ’ হিসেবেই দেখছেন।

আরও পড়ুনঃ তাপস, অভিষেক কেউ নেই! ওদের পথেই এবার হয়ত আমি! তীব্র আর্থিক সংকটে চালাতে পারছেন না চিকিৎসার খরচ! অত্যন্ত কষ্টে জীবন কাটছে অভিনেতা তুহিন বন্দ্যোপাধ্যায়ের, চাইছেন কাজ

একজনের মতে, “কার্নিভালে গেছেন ইনকাম এসে যাবে।” অন্যজন বলছে, “লজ্জা করে না! শুধু মুখে বড় বড় কথা আর চটি চাটা ছাড়া কোনও কাজ নেই!” সব মিলিয়ে, একটা ব্যবসা ঘিরে এমন বিতর্ক বোধহয় খুব কম সময়েই দেখা গেছে। মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করে যদি ব্যবসা শুরু হয়, তাতে যে তা টিকিয়ে রাখা আরও কঠিন হয়ে যায়, সেটাই যেন প্রমাণ করে দিল এই ঘটনা। অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তা থাকতেই পারে, কিন্তু সেই জনপ্রিয়তাকে যদি অতি সংবেদনশীল বিষয় বা রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতায় ভর করে ব্যবহার করা হয়, তাহলে সমালোচনা অনিবার্য।