জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, দিদি রাইয়ের জীবনে চরম শত্রু হয়ে উঠেছে তাঁর নিজের বোন নীলাঞ্জনা ওরফে নীলু। শৌর্য্য তাঁর জীবন থেকে নীলুকে বিতাড়িত করেছে। বাড়ি এসে নীলুর একটাই লক্ষ্য, কিভাবে দিদিভাইয়ের জীবনটা ছারখার করা যায়। উদ্দেশ্য সফল করতে কোমর বেঁধে লেগেছে নীলাঞ্জনা।
প্রেগনেন্সি নিয়ে মিথ্যে বলেছে নীলু। শশুরবাড়িতে প্রথম থেকেই খুব একটা পছন্দের পাত্রী ছিল না সে। এরপর গর্ভবতী হওয়ার খবর নিয়ে প্রত্যেকের আবেগ নিয়ে ছেলে খেলা করেছে নীলাঞ্জনা। যার ফলস্বরূপ শাশুড়ির হাতের চড় আর স্বামীর থেকে জুটেছে অপমান। নীলুকে ডিভোর্স দেবে বলে ঠিক করেছে শৌর্য্য। শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছে নীলাঞ্জনা।
‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকের বর্তমান ট্র্যাক
অন্যদিকে, রাই এবং অনির্বাণের সম্পর্ক ধীরে ধীরে পরিণতি পাচ্ছে। আর সেই খবর রটেছে বাতাসে। রাইয়ের সঙ্গে অনির্বাণের ঘনিষ্ঠতা জেনে গিয়েছে সবাই। অফিসের বসের সঙ্গে রাইয়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভালো চোখে দেখছে না কেউই। নীলাঞ্জনার বিয়েটা রাইয়ের তাগিদেই হয়েছিল। নিজের বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে গিয়ে বোনকে নিজের প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল রাই। প্রথমদিকে ভালোভাবে সবকিছু চললেও এখন সেই বিয়েটা টিকবে কিনা সেটাই সন্দেহ।
রাই ও অনির্বাণের সম্পর্ক ভাঙতে নীলুর প্ল্যান!
নীলাঞ্জনা ভাবছে, তাঁর জীবনটা ছারখার করে দিয়ে দিদিভাই আর স্রোত বেশ ভালোই আছে। তাই নীলু মনে মনে পরিকল্পনা করতে থাকে, সে যদি ভালো না থাকে তাহলে কাউকে ভাল থাকতে দেবেনা। বিশেষ করে রাইকে তো নয়ই। অনির্বাণ আর রাইয়ের সম্পর্ক বিষাক্ত করে তুলতে কুটবুদ্ধি আঁটলো নীলু।
আরও পড়ুন: তুখোড় অভিনেতা! তবে এখন আর সুযোগ মেলেনা, খোঁজ রাখেনি টলিপাড়া, কোথায় হারিয়ে গেলেন কৌতুক অভিনেতা দেবশিস গাঙ্গুলি?
এখন নীলাঞ্জনার প্রধান টার্গেট রাইয়ের অফিসের বস। যেমন করে হোক না কেন রাইয়ের জীবনটা নরক করে তুলবে সে। এমনটা ভাবতে থাকে নীলু। অন্যদিকে ডোরা বৌদি এবং তার স্বামী অনির্বাণের বাড়িতে যায় এবং রাই-শৌর্য্যের সম্পর্কের প্রসঙ্গ তুলে রাইয়ের নামে অভিযোগ তুলতে থাকে। যদিও সামনে অনির্বাণ দেখায় যে সে এগুলো বিশ্বাস করে না। তবুও ডোরা বৌদির কথায় রাইপূর্ণার বিরুদ্ধে মনে সন্দেহ জাগে অনির্বাণের।