দুর্গাপুজোর আনন্দ শেষ হতেই দুই সন্তান এবং বোনকে নিয়ে দার্জিলিং ভ্রমণে রওনা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্ত। পাহাড়ের নীলাভ আকাশ, শীতল বাতাস এবং সবুজ পাহাড়ি প্রকৃতি উপভোগ করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। তবে সেই আনন্দময় সফর দ্রুতই এক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়ে যায়। প্রবল বৃষ্টির কারণে মানসী এবং তাঁর পরিবারের জন্য পাহাড় ভ্রমণ রীতিমতো বিভীষিকায় পরিণত হয়।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে দার্জিলিংয়ে শুরু হয় প্রচণ্ড বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং এলাকায় ২৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পাহাড়ি রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িও প্রকৃতির প্রলয় দেখেছে। মানসী নিজে বলেছেন, “এতো বৃষ্টি আমি জীবনে দেখিনি। পাহাড়ের পথে আমাদের ভ্রমণ একেবারেই অন্যরকম অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়েছে।”
সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল, মানসীর সাত মাসের ছোট্ট ছেলে। সেইসঙ্গে ছোট মেয়েও সঙ্গে ছিল। বাচ্চাদের খাবার সঙ্গে থাকলেও প্রবল বৃষ্টিতে ও ধসে ভরা পাহাড়ি রাস্তায় প্রায় ১০ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় তাঁকে। মানসী জানিয়েছেন, “আমরা কার্শিয়াং থেকে তাকদা যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু গাড়ি নিয়ে বেরোতেই পরিস্থিতি এমন হয়ে গেল। খেতে পারিনি, বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারিনি। এই অভিজ্ঞতা আমাদের পাহাড় ভ্রমণের মধ্যে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
রবিবার থেকে মিরিকের রাস্তা এবং পাহাড়ে ওঠার রোহিণী রোডও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আরও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। মানসী জানিয়েছেন, পাহাড় থেকে নামার জন্য তাঁরা মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। সেখান থেকে শিলিগুড়িতে পৌঁছে রাতের ট্রেনে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতি সঙ্গী এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মানসীর ধৈর্য, সতর্কতা এবং একে অপরের প্রতি যত্নকে আরও দৃঢ় করেছে।
আরও পড়ুনঃ প্রথমে লক্ষ্মী এবার কি তবে কার্তিক? ফের সুখবরের আভাস দিলেন রাহুল-প্রীতি?
প্রকৃতির এ ধরনের চরম পরিস্থিতি সত্ত্বেও মানসী মনে রেখেছেন এই সফরকে। প্রবল বৃষ্টি এবং দীর্ঘ ঘণ্টার রাস্তায় আটকে থাকার অভিজ্ঞতা তাঁকে শেখিয়েছে প্রস্তুতি, সহনশীলতা এবং পরিবারের জন্য একে অপরের পাশে থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সফরটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল, তবুও পাহাড়ের প্রকৃতি এবং সেই সঙ্গে পরিবারকে নিয়ে কাটানো মুহূর্তগুলোকে তিনি মনে রাখবেন দীর্ঘদিন।