নতুন ছবির মুক্তি ঘিরে ফের একসঙ্গে পর্দায় ফিরলেন টলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় জুটি দেব ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Dev-Subhashree)। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নির্মিত ‘ধূমকেতু’ (Dhumketu) ছবির শ্যুটিং শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। মাঝের প্রায় এক দশক কেটে গেলেও নানা কারণে সিনেমাটি আলোর মুখ দেখেনি। অবশেষে সব জটিলতা পেরিয়ে ১৪ আগস্ট ২০২৫-এ বড়পর্দায় মুক্তি পেল এই বহুল প্রতীক্ষিত ছবি, আর দর্শকদের ভিড়ে ইতিমধ্যেই প্রেক্ষাগৃহ জমজমাট।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ না করা দেব ও শুভশ্রী একসময় ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেও খবরের শিরোনামে ছিলেন। তাঁদের প্রেম টলিপাড়ার কাছে তখন ওপেন সিক্রেট হলেও বিচ্ছেদের পর আলাদা পথে হাঁটেন দু’জনেই। তবে ‘ধূমকেতু’-র গল্প তাঁদের আবারও এক ফ্রেমে নিয়ে আসে। অভিনয়ের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং চিত্রনাট্যের টানে তাঁরা পেশাদারিত্ব বজায় রেখে এই কাজটি সম্পূর্ণ করেন। বর্তমানে শুভশ্রী সুখী গৃহকোণ ও মাতৃত্বে ব্যস্ত।
অতীতের প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি জানালেন, জীবনের সেই অধ্যায় তাঁর কাছে এখন “মুছে ফেলা” স্মৃতি। এখন তাঁর কাছে সবচেয়ে মূল্যবান মুহূর্ত হল, যখন সন্তানরা মায়ের ডাক শুনে ছুটে আসে। শুভশ্রীর ভাষায়, সেই হাসি-আনন্দই জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। অভিনেত্রীর কথায়, “ইয়ালিনী এখনই ‘আমি নানিনি’ বলতে শিখে গেছে। ইউভান শুনে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে। দুটির মধ্যে এখন রোজ মারপিট লেগে যাচ্ছে পিঠাপিঠি বলে।
আজই আমাকে একজন কেউ জিজ্ঞাসা করছিলেন গৃহপ্রবেশ-এর কী মনে আমার কাছে? উত্তর দিলাম, যখন বাড়িতে পা রাখতেই সন্তানরা মা ডাকতে ডাকতে ছুটে আসে, এরথেকে বড় কিছু আমার কাছে নেই!” নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জীবনের কষ্টের সংজ্ঞাও ভিন্নভাবে তুলে ধরলেন নায়িকা। তাঁর মতে, আমরা যা চাই তা না পেলে সেটাকেই কষ্ট ভাবি, অথচ জীবনে যা আসছে সেটাকে মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই আসল শিক্ষা।
আরও পড়ুনঃ “এক সময় খেতেই পেতাম না, ছেঁড়া শাড়িও পরেছি!” “জীবনের কষ্ট আর সংগ্রামই আসল শিক্ষাগুরু!” “অহংকার ছিল না বলেই, শূন্য থেকেই আজকের আমি হয়েছি!”— অতীতের লড়াইই আজকের শক্তি, বললেন অঞ্জনা বসু!
শুভশ্রীর কথায়, বাচ্চাদের মতোই চাওয়া না পূরণ হলে অন্য দিকে মন দেওয়া শিখতে হবে। এভাবেই নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসা যায়। শুভশ্রী যোগ করেন, “জীবনে কষ্ট বলে সত্যিই কী কিছু হয়? আমরা যেটাকে যেমন চাই, সেটা না পাওয়াই কষ্ট মনে করি। কিন্তু যেটা পাচ্ছি, সেটাকেই মেনে মুভ অন করতে হবে।” মা হিসেবে দুই সন্তানের কাছ থেকে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছেন শুভশ্রী। তাঁদের নিষ্পাপ দৃষ্টিভঙ্গি ও সহজভাবে মেনে নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নিজের জীবনদর্শনকে বদলে দিয়েছে।