টলিপাড়ায় ফের বিয়ের সানাই! বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন এই পথ যদি না শেষ হয় খ্যাত অভিনেত্রী !
‘রাঙা বউ’ (Ranga Bou) ধারাবাহিকে সীমন্তিনীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন পায়েল দেব (Payel Deb)। গল্পে সীমন্তিনীর বিয়ে হয় শিখ পরিবারে। পর্দা আর বাস্তব জীবন এবার মিলেমিশে গেছে অভিনেত্রী। মঙ্গলবার অভিনেত্রীর কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। ছবি দেখে অনুরাগীদের প্রশ্ন, পায়েলের কি আশীর্বাদ হয়ে গেল? এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানায় সকলে ভুল করেছেন কারণ গত বছর রথের দিন পঞ্জাবি মতে ‘রোকা’ সেরেছেন পোশাক ব্যবসায়ী শিখর টন্ডনের সঙ্গে। কিন্তু সমাজমাধ্যমে পায়েল দেবের আশীর্বাদ নিয়ে গুঞ্জন ওঠে সম্প্রতি।
জন্মদিন এর দিন তাকে তার আর তার হবু বড়’ শিখরের পরিবার উপস্থিত ছিল। মা-বাবা, শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে তাকে আশীর্বাদ করেন। সেই ছবি দেখে সকলে ভেবেছেন অভিনেত্রীর আশীর্বাদ। কিন্তু কথার ফাঁকে বিয়ের পরিকল্পনাও ফাঁস করে দিলেন অভিনেত্রী। জানালেন, ৫ ডিসেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন। এবং আরো বললেন “শিখর শেরওয়ানি পরে বিয়ে করতে আসবে। তার পর নিয়ম মেনে বরপোশাক পরে পিঁড়িতে বসবে। ধুতি, টোপর পরে বিয়ে করবে বলে এখন থেকেই উত্তেজিত”
সমাজমাধ্যমে পায়েল দেবের আশীর্বাদ নিয়ে গুঞ্জন
আগামী ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন পায়েল- শিখর। একই দিনে আইনি বিয়েও হবে। শিখর পেশায় একজন ব্যবসায়ী। পায়েলের মতো তিনিও উত্তর কলকাতার বাসিন্দা। পায়েলের বাড়িতে এই প্রথম কোনও বাঙালি বাড়িতে বিয়ে হবে। তবে পরিবারের তরফে কোনও বাঁধা আসেনি। দুই পরিবারের ইচ্ছেতে এবার চার হাত এক হবে। শোনা যাচ্ছে, বাঙালি ও পঞ্জাবি দুই মতেই বিয়ে হবে তাঁদের।
অভিনেত্রীর মতে কোভিড কাল অনেকের কাছে অভিশপ্ত হলেও কিন্তু তাদের কাছে না বরং আশীর্বাদ স্বরূপ। কারণ ওই সময় সমাজমাধ্যমের হাত ধরে শিখর তার কাছে এসেছেন। তাঁর বরাবরের স্বপ্ন ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করবেন। তাঁর পছন্দ পঞ্জাবি ছেলে। সেই স্বপ্ন সফল হতে চলেছে। তিনি সঙ্গে বলেন “শিখরের পরিবার নামেই পঞ্জাবি। কলকাতায় ওর জন্ম। ঝরঝরে বাংলা বলে। মাছ খেতে খুব ভালবাসে”।
আরও পড়ুন: রাই-অনির্বাণের বিয়েতে দর্শকদের সিমপ্যাথি পেল নীলু, সবকিছুর জন্য রাইকে দুষছেন নেটিজেনরা! আপনারাও কী একমত?
জন্মদিনের দিন সুন্দর সেজেছিলেন অভিনেত্রী। লাল পোশাক সঙ্গে ছিল মানানসই সোনার গয়না। পছন্দের মেনু ছিল তাঁর পাতে। অভিনেত্রী জানালেন বিয়ের আগে বাগদান সারবেন। বাগদান, বিয়ের সাজ, থিম— এখনই ঠিক করে ফেলেছেন। বাগদানের দিন তিনি বেছে নিতে পারেন সোনালি বা রুপোলি রঙের পোশাক। বিয়ের সন্ধ্যায় লাল বেনারসি ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। মেনু কি বাঙালি-পঞ্জাবি খানা মিলিয়ে? সে খবর এখনই ফাঁস করতে কিন্তু নারাজ পায়েল।