পাঁচ দিন হয়ে গেল আমাদের ছেড়ে চিরদিনের মত চলে গেছেন বিখ্যাত বলিউড গায়ক কেকে যিনি অন্যান্য অনেক ভাষাতে প্লেব্যাক সিঙ্গিং করেছেন।নজরুল মঞ্চের অব্যবস্থা,গুরুদাস কলেজ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন এর চূড়ান্ত অভব্যতা এবং কেকের শরীর খারাপ, সব মিলিয়ে মিশিয়ে প্রাণ চলে গেছে মানুষটার। কিন্তু বাঙ্গালীদের একটা আলাদা দুঃখ কাজ করছে তার কারণ প্রথমত কলকাতায় এসে কেকের মৃত্যুবরণ। দ্বিতীয়তঃ কেকে’র মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর আক্রোশ ভরা আক্রমণ কেকে’র উদ্দেশ্যে।
তিনি রাগ থেকে বলেছিলেন যে হু ইজ কে ম্যান? আমরা কেকে’র থেকে অনেক ভালো গাই। এই কথাটা বাঙালি তখন মেনে নিতে পারেনি এবং কমেন্ট বক্সে ধীরে ধীরে ক্ষোভ জমছিল তারপর কেকে যখন মারা গেলেন তখন রূপঙ্করের অবস্থা বাঙ্গালি একদম ছিবড়ে করে ছেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার আক্রমণ করা হয়েছে রুপংকরের উদ্দেশ্যে এমনকি বাধ্য হয়ে মিও আমোরে রুপংকরের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে রূপঙ্করকে উদ্দেশ্য করে তার মৃত্যুকামনা করা হয়েছে, এমনকি তিনি যে বায়োলজিক্যালি বাবা হতে পারেননি সেটা নিয়েও কটাক্ষ করা হয়েছে। এবার কোথাও গিয়ে মনে হচ্ছে নেটিজেনরা শালীনতার সীমা ছাড়াচ্ছেন।
রূপঙ্কর যেটা করেছেন সেটা খুবই অন্যায় করেছেন। তিনি এর আগে অনেক অভব্যতা করেছেন লাইভে এসে। তার গান পছন্দ না হলে শ্রোতাকে মৃত্যুবরণ করতে বলেছেন। কিন্তু কথাটা হল রূপঙ্কর যে ভুলটা করেছেন সেই একই ভুল নেটিজেনরা কেন করবেন?রূপঙ্করের মৃত্যু কামনা করা টা খুব বাজে একটা কাজ হয়েছে। যারা এটা করেছেন তারা মোটেও ঠিক করেননি। আক্রোশের পাল্টা তীব্র আক্রোশ কোন উত্তর নয়।
সেইসঙ্গে রূপঙ্কর এবং তার স্ত্রী চৈতালি বায়োলজিক্যালি বাবা মা হতে পারে এবং তার জন্য তাদের উদ্দেশ্যে বলা ‘এইজন্য তোরা বাবা মা হতে পারলি না, ঠিক হয়েছে’, এটা কখনোই কাম্য নয়। তার স্ত্রীকে হুমকি দেওয়া ফোন করা উচিত কাজ হয়নি।
এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেক নেটিজেন। রূপঙ্কর বাগচী খারাপ ব্যবহার করেছেন ঠিক করেননি। কিন্তু অনেক নেটিজেনরা এসব কী করছেন? বাবা-মা তুলে গালিগালাজ,মৃত্যু কামনা, হুমকি, নিঃসন্তান হওয়া নিয়ে কটাক্ষ,এসব কী? এগুলো এবার বন্ধ করা উচিত। বলছেন নেটিজেনরা।