বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম (social media)এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে, যেখানে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যে কোনো তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের মতামত প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এটি। একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ এই মাধ্যমে বিভিন্ন খবর ও তথ্য জানতে পারছে, তেমনই এটি বিতর্কের সৃষ্টি করতেও পিছিয়ে নেই। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যেখানে একটি প্রখ্যাত পরিবারের অভ্যন্তরীণ বিষয় সামাজিক মাধ্যমে উঠে এসেছে।
এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শঙ্কর পরিবার, যারা নাচ ও সঙ্গীতের জগতে তাদের অনন্য অবদানের জন্য পরিচিত। প্রয়াত আনন্দ শঙ্কর ছিলেন একজন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ, যিনি আন্তর্জাতিক স্তরেও পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী তনুশ্রী শঙ্করও একজন খ্যাতনামা নৃত্যশিল্পী। তাঁদের মেয়ে শ্রীনন্দা শঙ্কর, যিনি একসময় পরিবারের ঐতিহ্যের অংশ ছিলেন, বর্তমানে ভিন্ন পথে চলছেন। সাধারণ মানুষ শঙ্কর পরিবারকে সৃজনশীলতার মূর্ত প্রতীক হিসেবে চেনে।
সম্প্রতি শ্রীনন্দা শঙ্কর সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় মন্তব্য করেন, যা শঙ্কর পরিবারের ভাবমূর্তিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি দাবি করেন, পরিবারের কিছু সদস্য যদি বর্তমান সময়ে থাকতেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে ‘মিটু’ আন্দোলনের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠতে পারত। শ্রীনন্দার মতে, শঙ্কর পরিবারের সব সদস্য নৈতিক বা আদর্শিক দিক থেকে সঠিক ছিলেন না। তাঁর এই বক্তব্য শুধু পরিবারের নয়, বরং বৃহত্তর সামাজিক স্তরেও তোলপাড় করেছে।
শ্রীনন্দার বক্তব্যের পর সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ তাঁর মন্তব্যকে পারিবারিক ঐতিহ্যকে অসম্মান করার প্রচেষ্টা বলে আখ্যা দিয়েছেন। অন্যদিকে, অনেকে তাঁর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন এবং মনে করেছেন তিনি সত্য প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে নারীদের অধিকার এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন বহু মানুষ।
আরও পড়ুনঃ দম্ভ মানুষকে শেষ করে দেয়, জেদ এগিয়ে নিয়ে যায়! আমি জেদি, দাম্ভিক নই! তবে কী নাম না করেই রাজকে ঠুকলেন দেব?
এই বিতর্ক শুধু পারিবারিক সম্পর্কের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেমে নেই; এটি সামাজিক সচেতনতার একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও শঙ্কর পরিবারের ঐতিহ্য কিছুটা বিতর্কিত হয়ে পড়েছে, তবে এটি সমাজে নারীদের অধিকারের বিষয়ে আলোচনার মঞ্চ তৈরি করেছে। শ্রীনন্দার মন্তব্যের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, বিশেষত পারিবারিক গোপন বিষয় ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে।