দম্ভ মানুষকে শেষ করে দেয়, জেদ এগিয়ে নিয়ে যায়! আমি জেদি, দাম্ভিক ন‌ই! তবে কী নাম না করেই রাজকে ঠুকলেন দেব?

সম্প্রতি দেব অভিনীত ‘খাদান’ (khadaan) এবং রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘সন্তান’(shontaan) সিনেমা দুটি মুক্তির পর থেকে টলিউডে একের পর এক বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সিনেমা দুটি দর্শকদের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। তবে, এই বিতর্কের মধ্যেই দেব তার নতুন মন্তব্যে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন। তিনি বলেন, “দম্ভ মানুষকে শেষ করে দেয়, জেদ এগিয়ে নিয়ে যায়। আমি জেদি, দাম্ভিক ন‌ই!” দেবের এই মন্তব্য অনেকেই টলিউডের বর্তমান পরিস্থিতি এবং তার নিজের বিশ্বাসের প্রকাশ বলে মনে করছেন।

দেব তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি দাম্ভিক নয়, বরং জেদী। এটি আসলে এক ধরণের বার্তা ছিল, যা রাজ চক্রবর্তীর সিনেমা এবং তার নিজের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। দেব জানিয়েছেন, তিনি কখনোই অন্যকে ছোট করার উদ্দেশ্যে নিজের কাজের প্রশংসা করেন না। “আমি আমার সিনেমাকে আমার সন্তানের মতো ভালোবাসি,” বলেন তিনি। তাঁর মতে, সব সিনেমাই সমান গুরুত্ব বহন করে এবং কোন সিনেমাকে ছোট করে দেখা উচিত নয়।

রাজ চক্রবর্তীর ‘সন্তান’ নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন, তবে দেবের মন্তব্য অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। রাজের সিনেমা মুক্তির পর থেকেই টলিউডে কন্ট্রোভার্সি শুরু হয়, এবং অনেকেই মনে করছেন দেবের এই বক্তব্য তাতে এক ধরনের তাত্পর্যপূর্ণ ইঙ্গিত থাকতে পারে। তবে, দেব নিজেকে কখনোই কারো নাম না নিয়ে মন্তব্য করতে দেখেননি। তার বক্তব্যের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল কাজের প্রতি সৎ ও নিষ্ঠাবান থাকা এবং নিজস্ব পথ অনুসরণ করা।

দেব আরও জানান, “আমার বাবা-মা আমাকে কখনোই অন্যের কাজের সমালোচনা করতে শিখায়নি। তারা আমাকে শিখিয়েছে, নিজের কাজ ভালোভাবে করতে।” তাঁর মতে, একমাত্র পরিশ্রম ও কাজের প্রতি শ্রদ্ধা দিয়েই একজন মানুষ সফল হতে পারে, দাম্ভিকতা কখনোই তার সাফল্যের পথে আসা উচিত নয়। দেবের এই বক্তব্য শুধুমাত্র তার পেশাগত জীবনের প্রতি শ্রদ্ধার প্রমাণ, বরং এটি তার ব্যক্তিগত দর্শনকেও ফুটিয়ে তোলে।

আরও পড়ুনঃ কালো পোশাক-সঙ্গে হালকা লিপস্টিক! বর্ষ শেষে বোল্ড লুকে উষ্ণতার পারদ চড়ালেন রুকমা

এখন, দেব এবং রাজ দুজনেই টলিউডের শীর্ষ অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্ত রেখে চলেছেন। দেবের মন্তব্য এবং রাজের সিনেমা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে, এবং আগামী দিনে এই বিতর্কের পরিণতি কী হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে সবাই।